২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২.৫০ শতাংশ করায় দেশের বৃহৎ এবং স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে বলে মনে করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারও একই পরিমাণ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে এবারের বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান আগের ন্যায় সমান থাকবে।
বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ৩২.৫০ শতাংশ কর হার কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে করে আগেরবারের ন্যায় এবারও তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ৭.৫০ শতাংশই থাকছে।
অথচ ভালো ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আগ্রহী করে তোলার জন্য তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধানে বাড়ানোর দাবি অনেকদিনের। সেটা অন্তত্বপক্ষে ১৫ শতাংশ করার দাবি। কিন্তু গতবারের বাজেটে সেটা উল্টো কমিয়ে আনা হয়। ওই বাজেটে করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫০ শতাংশ করা হয়।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২.৫০ শতাংশ কমানোর ফলে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী হবে বলে মনে করেন না বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, তালিকাভুক্তির পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানিরও একই পরিমাণ করহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানো হয়নি। ফলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানোয় ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী হবে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে আমরা বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানোয় অভিনন্দন জানিয়েছে ডিএসই। ডিএসই মনে করে, এই বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নমুখী বাজেট।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই জানায়, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট যথা: ট্রেজারি বন্ড, সুকুক, ডেরিভেটিভ, অপশন এর লেনদেন চালু করা, এসএমই ও এটিবি বোর্ড চালু করা, ইটিএফ চালু করা, ওপেন ইন্ড মিউচুয়্যাল ফান্ড তালিকাভুক্ত করা, শেয়ারবাজারের সহায়ক ইকোসিস্টেম ও সার্বিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন এবং স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য অর্থমন্ত্রী যে সুদৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন- এ জন্য ডিএসই অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের শেয়ারবাজার। তাই “জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের শেয়ারবাজার সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশায় ডিএসই প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে।