দেশে চলমান লকডাউন আগামী ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসময় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পুঁজিবাজার।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে’ নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল জারি করা নির্দেশনা ৫ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে বৃহস্পতিবার, রোববার ও মঙ্গলবার। এবং সিটি করপোরেশনের এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবস খোলা রাখতে হবে।
এদিকে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগামী ৫ মে (বুধবার) পর্যন্ত সময়ে সীমিত পরিসরে পুঁজিবাজারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে। এভাবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত লেনদেন চলবে। চালু থাকবে ১৫ মিনিটের প্রি-ওপেনিং ও ১৫ মিনিটের পোস্ট ওপেনিং সুবিধা।
এদিকে ব্যাংকের মতো ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও সীমিত পরিসরে চলবে। গ্রাহকদের জরুরি আর্থিক সেবা দিতে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিনে চার ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক একটি সার্কুলার জারি করেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গ্রাহকদের জরুরি আর্থিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে সীমিত আকারে কার্যক্রম চালু থাকবে।
এতে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের হিসাবে মেয়াদপূর্তিতে স্থায়ী আমানত নগদায়ন, ঋণের কিস্তি জমাদান ইত্যাদি জরুরি আর্থিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বোচ্চ দুটি শাখা (একটি ঢাকায় ও অপরটি ঢাকার বাইরে) ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।জরুরি গ্রাহক সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় জনবলের বিন্যাস ও উপস্থিতির বিষয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীয় বিবেচনায় সম্পন্ন করবে।