গত বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করা ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি এক টাকা করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করার পর শেয়ারের দর কমেছে ৬০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার দর গত এক বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানের কাছাকাছি।
বাজারে ফ্লোর প্রাইসের কারণে প্রায় ৮০টি কোম্পানির দর আর কমা সম্ভব নয়। বাকি কোম্পানির মধ্যে যখন ৮৫ শতাংশ কোম্পানি দর হারায়, তখন ভালো খারাপের কোনো হিসাব থাকে না সেটা সহজেই বোঝা যায়।
দর হারিয়েছে রেকিড বেনকাইজার, ইউনিলিভার, বার্জার, লিন্ডে, ওয়ালটনের মতো শক্তিশালী কোম্পানিও। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কোম্পানিরও একই অবস্থা।
বিমা খাতের ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে আরও ২৩টি দর হারিয়েছে। তবে বেড়েছে ১৯টির, যার একটি বেড়েছে সর্বোচ্চ যত বাড়া সম্ভব প্রায় ততটাই।
দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে সাতটি দেখা গেছে বিমা খাতের। আর দুটি ছিল বস্ত্র ও একটি ব্যাংক।
দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ ছিল রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ৪৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ারের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ২৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৩৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা ১০ পয়সা। দর বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ তালিকায় ছিল মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, জেনিথ টেক্সটাইল ও নিটল ইন্স্যুরেন্স।