পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড: আগামী ২১ মার্চ বিকাল ৪টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে তিন টাকা ৬১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২৯ পয়সা।
২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৭০ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৭ কোটি দুই লাখ ৯৮ হাজার ৩৫২টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৩৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৭২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড: আগামী ২৪ মার্চ বিকাল ৪টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
ব্যাংক খাতের কোম্পানি যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে তিন টাকা ৩৮ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে সাত টাকা ৯৩ পয়সা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৯৫৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৭৪ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৪৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ছয় দশমিক ৭১ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।