বছরের এই সময় ( শীত কালে ) ত্বকের যত্নে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যদি ভেবে থাকেন সকাল-বিকাল ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েই দায়িত্ব সারবেন, তা হলে ভুল ভাবছেন। কারণ, শুধু ময়েশ্চারাইজার মাখলে কিন্তু লাভ হবে না, যদি না এই নিয়মগুলি মেনে চলেন। চলুন জেনে নেয়া যাক-
শীতে ঠান্ডা পানিতে সমস্যা হলে অতিরিক্ত গরম পানি নয়, হালকা গরম পানিতে মুখ ধোয়া বা গোসলের মতো কাজগুলো সারুন। গোসলের পরপরই মুখে-হাতে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম লাগিয়ে মিনিটপাঁচেক মালিশ করতে ভুলবেন না যেন!
শীতে এমন ক্লিনজার কিনবেন যাতে ময়েশ্চারাইজার রয়েছে, তাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, তাহলে গ্লিসারিন রয়েছে, এমন প্রাসাধনী বেছে নিন। এই উপদানগুলো নানাভাবে ত্বকের খেয়াল রাখে। বিশেষ করে ত্বকের আর্দ্রতা যাতে কোনোভাবে কমে না যায়, সেদিকে তো খেয়াল রাখেই, সেইসঙ্গে ব্রণসহ নানা ত্বকের রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
শীতে রোদের তেজ খুব বেশি থাকে, যে কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বক দ্রুতই উজ্জ্বলতা হারায়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে আপনারই ক্ষতি। তাই শীতেও বাইরে বের হওয়ার আগে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
দিনে দুইবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। একবার সকালে, আরেকবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। মুখ ধোয়ার পরে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে। সেইসঙ্গে মৌসুমী সবজি আর ফল যেমন বেশি করে খেতে হবে, তেমনই স্যুপ, সালাদ, ফলের রস এবং দুধ খেলেও উপকার মিলবে। যেসব ফলে পানির মাত্রা বেশি, সেসব ফলই বেশি খেতে হবে। তাতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে, পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদাও মিটবে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়বেই, পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকবে।
শীতকাল জুড়ে যদি মুখে ভার্জিন নারিকেল তেল লাগিয়ে মালিশ করেন, তাহলে ত্বক নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকবে না। কারণ, এই তেলে রয়েছে য়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের বয়স কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।