1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন

বেশি বোনাসে ব্যাপক লোকসান যেসব কোম্পানিতে

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১
dse

এই তিনটি কোম্পানিতে উচ্চমূল্যে লাভ হলেও গত কয়েক বছরে যেসব কোম্পানি ১০০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার দিয়েছে, সেগুলোর শেয়ার উচ্চমূল্যে কিনে পকেট ফাঁকা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

মুন্নু অ্যাগ্রোর ২০১৮ সালে ৩৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে শেয়ার মূল্য প্রায় ছয় হাজার টাকা উঠে যায়। কিন্তু কোম্পানিটি ব্যবসা বাড়াতে পারেনি। পরের দুই বছরে তারা যথাক্রমে ২০ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়। কিন্তু তাদের আয় ক্রমেই কমছে। বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানে আছেন।

আরেক আলোচিত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট ২০১৭ সালের জন্য ৮০ শতাংশ, ২০১৮ সালের জন্য ৪১০ শতাংশ, ২০১৯ সালের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস দিয়ে তিন বছরেই শেয়ার সংখ্যা ২৩ গুণ করে। কিন্তু তারাও ব্যবসা বাড়াতে পারেনি। উল্টো ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি ৯৫ টাকা মুনাফা করা কোম্পানিটি পরিণত হয়েছে লোকসানিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তারা শেয়ার প্রতি এক টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে।

২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুই বছরের মধ্যে শেয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন গুণ করে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে জেমিনি সি ফুড। বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে কোম্পানিটি গত বছর কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে লোকসান আরও বেড়েছে।

২০১৭ সালে প্রথমবার ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২০ টাকা ৭১ পয়সা। পরের বছর ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার বছরে আয় কমে হয় ১৩ টাকা ৬ পয়সা। ২০২০ সালে সেই কোম্পানি শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৯ টাকা ৮৩ পয়সা।

ব্যাংকিং খাতের ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রায় এক দশক পরে ২০১৮ সালে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়। এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওই বছর শেয়ারদরও বেড়ে যায় শতভাগের বেশি। উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে এখন বিপাকে বিনিয়োগকারীরা।

২০১৩ সালে তালিকাভুক্তির পর ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে আলোচনায় আসা ফ্যামিলি টেক্সের বিনিয়োগকারীরা আরও বিপাকে। ওই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারদর ৭৪ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও পরে মালিকরা ঘোষণা না দিয়ে উচ্চমূল্যে শেয়ার বিক্রি করে লাপাত্তা হয়ে যান। এখন শেয়ারদর কমতে কমতে দুই টাকার ঘরে নেমেছে।

বিশ্লেষক মত

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বোনাস শেয়ারের নামে যা হয়েছে তা পুরোটাই আইনবহির্ভূত। নিয়ম হচ্ছে, কোম্পানির চাইলেই বোনাস দিতে পারবে না, কেন দিতে চাচ্ছে তার কারণ জানাতে হবে। সেটি কতটা যৌক্তিক সেটিও মনিটরিং থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএসইসির অনেক দায়িত্ব আছে। কিন্তু আগের যে কমিশন ছিল, তারা সেটি ভালোভাবে পরিপালন করেনি।’

দেশীয় কোম্পানিগুলো শেয়ারদর ধরে রাখতে না পারলেও বিদেশি কোম্পানিগুলো পারছে কেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোম্পানি বোনাস শেয়ার দেবে যখন কোম্পানির হাতে টাকা থাকবে এবং তার উদ্দেশ্য থাকবে কোম্পানি সম্প্রাসারণ করে আয় বাড়াবে। কিন্ত দেশীয় কোম্পানিগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বোনাস দেয় ক্যাটাগরির ধরে রাখতে। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিগুলো বোনাস দেয়ার পরপরই তারা কোম্পানি সম্প্রসারণের খবর প্রকাশ করে। ফলে তাদের শেয়ারদরে কোনো প্রভাব পড়ে না।’

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্যের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানি সম্প্রসারণের কথা বলে বোনাস দিয়ে সেই অর্থ বিনিয়োগ করে না। ফলে কোম্পানির আয় বাড়ে না। এতে সার্বিক কোম্পানি ও শেয়ারদরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বিএসইসিকে অনেক আগেই বলেছিলাম যেসব কোম্পানি নূন্যতম পাঁচ বছর টানা নগদ লভ্যাংশ দেবে না তাদের যেন বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমতি না দেয়া হয়। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েই দুই-তিন বছর টানা বোনাস দিয়ে পরে আর টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু বড় অঙ্কের বোনাস লভ্যাংশ প্রলোভনে শেয়ারদর বাড়লেও পরে তা আর টিকে না। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ