ব্যাংকটি থেকে জানানো হয়েছে, লভ্যাংশ দেয়ার মাধ্যমে ব্যাংকের সঞ্চিত আয়ের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। ২০২০ ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১০ টাকা, যেখান থেকে দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করবে ব্যাংকটি। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৫৮ টাকা ৬৫ পয়সা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০২০ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদসহ ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ারপ্রতি দেড় টাকাসহ প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি শেয়ার পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে যে সীমা বেঁধে দিয়েছে সে অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওয়েবসাইটে বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যাংকটি জানিয়েছে, বোনাস লভ্যাংশ ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক লভ্যাংশ প্রদানের যে সীমা বা নির্দেশনা দিয়েছে সে আলোকে করা হয়েছে।
আরও জানানো হয়েছে, বোনাস শেয়ার চলতি বছরের মুনাফার বাইরে ঘোষণা করা হয়েছে। এই লভ্যাংশ ব্যাংকের রিজার্ভ বা পুনর্মূল্যায়ন রিজার্ভ বা কোনো অসামঞ্জস্য লাভের হিসাব থেকে দেয়া হয়নি। এমনকি ব্যাংকের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগের কোনো অনার্জিত লাভ বা আনরিয়ালাইন্ড গেইন থেকে দেয়া হয়নি।
লভ্যাংশ দেয়ার মাধ্যমে ব্যাংকের সঞ্চিত আয়ের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে।
২০২০ ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১০ টাকা। যেখান থেকে দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করবে ব্যাংকটি। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৫৮ টাকা ৬৫ পয়সা।
২০১৯ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৭ টাকা ৮৯ পয়সা। সে বছরও ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের দেড় টাকা মুনাফা হিসাবে বিরতণ করেছিল।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক এক আদেশে জানায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। তবে নগদে শেয়ারপ্রতি দেড় টাকার বেশি দেয়া যাবে না। ২৪ ফেব্রুয়ারি আরেক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ দেড় টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। তবে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশ হলে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না।