1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে বহুজাতিক-দামি শেয়ারের দৌরাত্ম্য

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে হঠাৎ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিসহ দামি শেয়ারের দরে দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। বুধবারও তা অব্যাহত ছিল। এসব কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে লাফিয়ে।

মূল্য সংবেদনশীন কোনো তথ্য না থাকলেও কেন বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ারের পেছনে ছুটছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বুধবার এসব কোম্পানি লেনদেনে এগিয়ে না থাকলেও শেয়ারপ্রতি দর বৃদ্ধিতে ছিল এগিয়ে। তবে আগের দিনের সূচকের পতন অব্যাহত ছিল। কমেছে তালিকাভুক্ত সবচেয়ে ভালো কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ এর সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনও।

মঙ্গলবার হাজার কোটি টাকার লেনদেন বিনিয়োগকারীদের নতুন স্বপ্ন দেখালেও তা টেকেনি বুধবার। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মুনাফা হলেই শেয়ার বিক্রি করে দেয়ায় বড় লেনদেন হচ্ছে না। তবে সূচক এখন সাড়ে পাঁচ হাজারে অবস্থান করায় এ ধরনের পতনকে সাময়িক বলেছেন তারা।

দামি ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার

গত রোববার থেকে বাড়তে থাকা বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। এ ছাড়া দামি শেয়ারের দরও বেড়েছে। তালিকাভুক্ত রেকিড বেনকিউজার, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, ম্যারিকো, বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, লিন্ডে বিডিসহ দামি শেয়ার ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির মতো কোম্পানির প্রতি আগ্রহী ছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

কেন বাড়ছে এসব কোম্পানির শেয়ার দর, প্রশ্নে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘পুঁজিবাজারে গুজব আছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে তাদের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য বলবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কটি বহুজাতিক কোম্পানি স্বল্প মূলধনি।’

তিনি জানান, সম্প্রতি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০ শতাংশ বোনাস ল্ভ্যাংশ ঘোষণা করে তাদের পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে।

দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘মূলত এ কারণেই হঠাৎ করে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা হওয়া উচিত বলেও মনে করি না। কারণ, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তাদের শাখা অফিসের মাধ্যমে ব্যবসা করে। অনেকগুলো আছে যাদের নিজস্ব কোনো উৎপাদন কারখানা নেই। ফলে এসব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে আসলে কি করবে?’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেকিড বেনকিউজারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের ১২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ হাজার ৪৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৬ টাকায়। কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে ৩ দশমিক ০৯ শতাংশ।

ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডে বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে দশমিক ৪৩ শতাংশ। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২ কোটি টাকার কিছু বেশি। কোম্পানিটি সবশেষ ২০১৯ সালে ৫৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ হাজার ১৪১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ উঠেছে ৩ হাজার ৩৪০ টাকায়।

ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই কোম্পানির শেয়ারদরও গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাড়ছে। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ হাজার ৮৮ টাকা থেকে ২ হাজার ১৪৬ টাকায় উঠেছে।

বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে ১০০ শতাংশ বা ১টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করেছে। এবং ২০২০ জন্য কোম্পানিটি ২৯৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

দামি শেয়ারের মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ টাকায়।

রেনেটা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৯৫ টাকায়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৯৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ