1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

এবার বন্ধ, দুর্বল ও অকার্যকর কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনে মনোযোগ বিএসইসি’র

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১
bsec

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিগুলো চালু করে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জনসাধারণের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।গত বছর মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বর্তমান নেতৃত্ব।

এই ধারাবাহিকতায় এবার বন্ধ থাকা, দুর্বল ও অকার্যকর কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছে বিএসইসি। এরই মধ্যে অন্তত ৬ টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরমধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ফ্যামেলি টেক্স, এমারেল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর কয়েক মাস বন্ধ থাকা রিং শাইন টেক্সটাইলস চালু করেছে। অন্য কোম্পানিগুলো চালুর চেষ্টা চলছে।

সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। দুই বছরের মাথায় ২০১৭ সালে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয় কোম্পানির উৎপাদন। আট বছর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ১০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার লভ্যাংশ দিয়ে চমক দেখায় ফ্যামিলি টেক্স। পরে ঘোষণা না দিয়ে প্রায় সব শেয়ার বেচে দেন উদ্যোক্তা পরিচালকরা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর উৎপাদন বন্ধ হয়ে ডুবতে বসা সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ও পরিচালকদের দ্বন্দ্বে লোকসানিতে পরিণত হওয়া ফ্যামিলিটেক্সকেও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত রোববার এই সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আগে ভালো ছিল, কিন্তু নানা কারণে এখন কার্যক্রম নেই এমন কোম্পানিগুলোকেও পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ একই দিন বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়। এর আগে রিং সাইন টেক্সটাইলেও নতুন পর্ষদ গঠন করে সেটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।

ফ্যামিলিটেক্সে জন্য বিএসইসির মনোনীত পরিচালক হলেন কাজী আমিনুল ইসলাম, ড. সামির কুমার শীল, ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল, ড. মো. জামিল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ এহসান এবং ড. মো. ফরজ আলী। এ ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্যে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী আমিনুল ইসলাম।

আর সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দায়িত্ব পেয়েছেন সাতজন। চেয়ারম্যান করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথকে। প্রাথমিকভাবে বাকিদের নাম নিশ্চিত করতে পারেনি। সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। ১০ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে তোলা হয় ৪৫ কোটি টাকা। দুই বছরের মাথায় ২০১৭ সালে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয় কোম্পানির উৎপাদন।

কোম্পানির বন্ধের কারণ সম্পর্কে জানানো হয়, তৈরি পোশাক ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের চাহিদা অনুযায়ী কারখানা সংস্কারে বন্ধ রাখা হবে উৎপাদন। তারপর আর চালু হয়নি কোম্পানির কার্যক্রম।

এমন অবস্থায় সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানি পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কোম্পানির ফ্যাক্টরি, প্রধান কার্যালয় সবই বন্ধ। পরিদর্শনে যাওয়া ডিএসইর প্রতিনিধিরা কারখানায় প্রবেশ করতে না পারায় কোম্পানির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু অবগত হতে পারেননি। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের –সিএসই কর্তৃপক্ষও কারখানা পরিদর্শনে গেলে একইভাবে কারখানা বন্ধ পান।

২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট শিল্প জোনে সাতটি প্লট নিয়ে নিটিং, ডাইং ও প্রিন্টিংয়ের জন্য রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উৎপাদন শুরু করে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল।তালিকাভুক্তির প্রথম দিনেই সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের শেয়ারের দর ১২০ শতাংশ বা ১০ টাকার শেয়ার ওঠে ২২ টাকায়। বর্তমানে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১ টাকা ৯০ পয়সায়। কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার বছরে ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। তারপর ২০১৭ সালে কোম্পানিটি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বিএসইসির শেয়ার ধারণের নিয়ম অনুযায়ী কোম্পনির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। কিন্তু কোম্পানিটি তা পরিপালন করেনি। এ ছাড়া মোট শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই শেয়ারের সব শেষ মূল্য ২ টাকা মাত্র।

পজেটিভ ট্রেন্ডে পুঁজিবাজার, বাড়ছে বাজার মূলধন

আট বছর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ১০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার লভ্যাংশ দিয়ে চমক দেখায় এই কোম্পানিটি। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৭ টাকা ২৬ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ২১ টাকা ৭২ পয়সা।

কিন্তু এর পর থেকে কোম্পানিটির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। ২০১৪ সালের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ এবং পরের তিন বছর পাঁচ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দেয়। এরপর থেকে লোকসানের জন্য আর কোনো লভ্যাংশই দেয়নি। গত বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১৫ পয়সা করে লোকসান দেয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক অর্থাৎ ছয় মাসে লোকসান দিয়েছে ১৩ পয়সার কিছু বেশি।

এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকরা আরেকটি আইনবিরুদ্ধ কাজ করেন। পুঁজিবাজারে ঘোষণা না দিয়েই উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের হাতে থাকা সিংহভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন। এই বিষয়টি তদন্তে ডিসেম্বরের শেষে একটি তদন্ত কমিটি করে বিএসইসি। তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছে কি না, সেটি এখনও জানা যায়নি। আর এ জন্য পরিচালকদের তেমন কোনো শাস্তিও পেতে হয়নি।

কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের মধ্যে এখন মাত্র ৪.০২ শতাংশের মালিক কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। অথচ বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখতে হবে মালিকপক্ষ। এই কোম্পানির ৭৭.৫৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। ক্রমাগত লোকসান দিতে থাকা কোম্পানির শেয়ার দরও একেবারে তলানিতে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের সব শেষ মূল্য ২ টাকা ৭০ পয়সা।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলছেন, পর্ষদ পুনর্গঠনের ফলে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে কোম্পানিগুলো। তাই ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ ওটিসি থাকা কয়েকটি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্থ নয়-ছয় করা উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।

আরও পড়ুন…
ডিসেম্বর ক্লোজিং ১১২ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা
বড় অঙ্কের বোনাস ঘোষণার পরও দাম ধরে রাখতে পেরেছে
চার কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা ১৬৪ কোটি টাকা
মুনাফায় বড় ঊর্ধ্বগতি থাকলেও লভ্যাংশে প্রভাব নেই
বেশি বোনাসে ব্যাপক লোকসান যেসব কোম্পানিতে
জেমিনি সি ফুডে বিনিয়োগ করে কপালে হাত
বেশি বোনাসের করুণ ফল

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ