পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার হোল্ডারের স্বার্থরক্ষা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কমিশন কাজ করছে। বিএসইসি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে কাজী ওয়াহিদুল আলমকে চেয়ারম্যান করে ৮ সদস্যের স্বাধীন পরিচালক নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এর মূল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্যের সভাপতি মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটি যখন তালিকাভুক্ত হয় তখন খুবই ভালো কোম্পানি ছিল। কিন্তু উদ্যোক্তা-পরিচালকরা সুযোগে সব শেয়ার বিক্রি করে এখন কোম্পানির দায়িত্ব নিচ্ছে না। এটা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএসইসি যে উদ্যোগ নিয়েছে তা পুঁজিবাজারের পক্ষে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে। কিন্তু যারা কোম্পানিটিকে ধ্বংস করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’
বিনিয়োগকারীদের এমন দাবির পর বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শুধু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ নয়, আমরা চাই সব খারাপ কোম্পানি আবার চালু হোক। এতে অন্তত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ফিরে আসার সুযোগ হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোম্পানি বন্ধ করে রাখলে কারও লাভ হবে না। চালু করে দিলে আয় আসবে। এখন আগের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছে বলে এটি বন্ধ থাকবে সেটি ভাবা ঠিক নয়। বরং এটাও তাদের জন্য শাস্তি যে, তাদের কোম্পানি এখন অন্যরা চালাচ্ছে।’