মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৬৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৮ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এর মধ্যে ১১ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ১২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২২ টাকা ৯৬ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২২ টাকা ৯১ পয়সা।
২০১৮ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। ২০১৭ হিসাব বছরে ১৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে ব্যাংকটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মার্কেন্টাইল ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা থেকে ১৪ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৮৪ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২১৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৩১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৭ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫ দশমিক ৬২, সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৫ দশমিক ৫৪।