ইজিএম-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট থাকায় আজ সোমবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) তারিখ পরিবর্তন করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল কোম্পানিটির ইজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা ৩০ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের পর্ষদ সম্প্রতি সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে। এ টাকা তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো। এছাড়া বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ডিভিশনের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার কাজেও এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।
বেক্সিমকোর এই সুকুকের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা, একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ৫০টি সুকুক কিনতে হবে। এই সুকুকের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। সুকুক থেকে কমপক্ষে ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। এছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।
এই সুকুক শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য, বিনিয়োগকারী চাইলে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবেন। প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে সুকুক শেয়ারে রূপান্তর হবে। এ রূপান্তরের মূল্য হবে রেকর্ড তারিখের আগের ২০ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেক্সিমকোর শেয়ারের গড়মূল্যের ৭৫ শতাংশ। যদি কোনো বিনিয়োগকারী সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে না চান, তাহলে পাঁচ বছরে ওই সুকুকের অবসায়ন হবে।
সম্প্রতি বেক্সিমকো লিমিটেড একই গ্রুপের বিদ্যুৎ কোম্পানি বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের (বেক্সপাওয়ার) সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কিনেছে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ৩৫ কোটি টাকায় বেক্সিমকো হোল্ডিংসের কাছ থেকে এ শেয়ার কিনেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে এই বেক্সপাওয়ারের কাছে।
সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কেনার পর বেক্সপাওয়ারে বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট শেয়ার সংখ্যা সাড়ে সাত কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে বেক্সপাওয়ারে কোম্পানিটির মালিকানা ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।