সাম্প্রতিক সময়ে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির নেপথ্যে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আরামিট সিমেন্টের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল শেয়ারটি ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আরামিট সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬৯ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪২ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি আরামিট সিমেন্ট। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৮৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৬৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮৫ পয়সা।
২০১৯ হিসাব বছরেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি আরামিট সিমেন্ট। ২০১৮ হিসাব বছরেও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।