সোমবার এমারেল্ড অয়েলের দাম বাড়ে ১০ শতাংশ। পরের দুই দিনও বাড়ে প্রায় একই হারে। তবে আরও বাড়বে ভেবে যারা শেয়ারটি কিনেছেন, তারা এখন দুশ্চিন্তায়।
কারণ, এই শেয়ারটি এক দিনে দর হারিয়েছে ৮.২৭ শতাংশ।
একই পরিস্থিতি আরেক বন্ধ প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দরে। গত সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত শেয়ারটির দাম এক দিনে যত বাড়া সম্ভব, বেড়েছিল ততই। আর এবার দাম কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততই।
বিআইএফসি, ফ্যামিলি টেক্স, তুংহাই নিটিং তাল্লু স্পিনিং, বিডিওয়েল্ডিং, মিথুন নিটিং, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, এপোলো ইস্পাত, আইএলএফএসএল, ফাস ফিনান্সও ব্যাপকহারে দর হারিয়েছে, গত কয়েক দিনে যেগুলোর দর কেবল বেড়েই চলেছিল।
কী বলছেন বাজার বিশ্লেষক
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘কোনো বিনিয়োগকারী যখন এককভাবে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কেনেন তখন তিনি তার ইচ্ছায় কিনেন। কিন্ত যখন সার্বিক বাজারে জেড ক্যাটাগরির উত্থান হয় তখন স্বাভাবিকভাবে বলা যায় এখানে কারসাজি হচ্ছে। বা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের উত্থান সাময়িক। এখন আবার কমে গেছে। খারাপ কোম্পানির শেয়ার জেনে বুঝে কিনে লোকসান হলে দায় কে নেবে? তবে পরামর্শ হচ্ছে, লাভ হলেই কিনতে হবে এ ধারণা থেকে বিনিয়োগকারীদের বের হয়ে আসা উচিত।’
পুঁজিবাজারে বর্তমানে টি প্লাস ওয়ান প্রক্রিয়ায় শেয়ার বেচা কেনা হয়। আর জেড ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে টি প্লাস টেন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। জেড ক্যাটাগরি বাদে যে কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে একদিন পর বিক্রি করে দেয়া যায়, যা আগে ছিল তিনদিন। আর জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কেনারে দশদিন পর বিক্রি করা সম্ভব হয়, যা আগে ছিল সাতদিন।
ফলে এই সময়ে যারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনেছেন তাদের আর অন্তত সাত থেকে নয় কর্মদিবস অপেক্ষা করতে হবে শেয়ার বিক্রির জন্য। অর্থাৎ তারা আগামী সপ্তাহেও শেয়ারগুলো বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ, এক সপ্তাহে কর্মদিবস থাকে সর্বোচ্চ পাঁচটি।