পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার অদাবিকৃত বা অবণ্ঠিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা অনেক বছর আগেই ঘোষণা ও বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদিত হয়েছিল।
কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানিয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক হিসাবে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রমাণাদির সীমাবদ্ধতা ছিল। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন স্বশরীরে গণনা করা যায়নি। ফলে কোম্পানিটির মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। একইসঙ্গে ওই মজুদ পণ্যের জন্য আর্থিক হিসাবে কোন সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কোম্পানিটি সয়াবিন তেল কেনার জন্য অগ্রিম ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করেছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। যা দীর্ঘদিন ধরে দেখিয়ে আসছে। তবে কোন বিশ্বাসযোগ্য ডকুমেন্টসের মাধ্যমে তা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেটের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের হাতে। বুধবার (০৩ মার্চ) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১১ টাকায়।