1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

নতুন শেয়ার নিয়ে হুলুস্থুল

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১
dse-pic

আবার নতুন শেয়ার নিয়ে হুলুস্থুল। তালিকাভুক্তির পর টানা ছয় কার্যদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে অভিহিত মূল্যের তিন গুণ হয়ে গেল ইজেনারেশনের শেয়ারের দর।

নতুন শেয়ার তালিকাভুক্ত হলে প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ এবং এর পরে বাড়তে বা কমতে পারে ১০ শতাংশ করে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে। প্রথম দিন ৫০ শতাংশ হিসেবে বেড়ে সেটি হয় ১৫ টাকা। দ্বিতীয় দিন আরও ৫০ শতাংশ বেড়ে দাম হয় ২২ টাকা ৫০ পয়সা।

তৃতীয় দিন থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে দাম। তৃতীয় কার্যদিবসে দাম হয় ২৪ টাকা ৭০ পয়সা। চতুর্থ কার্যদিবসে দাম দাঁড়ায় ২৭ টাকা ১০ পয়সা। আর পঞ্চম কার্যদিবসে দাম দাঁড়ায় ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। ষষ্ঠ কার্যদিবসে মঙ্গলবার আবার সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়ে দর দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৭০ পয়সা।

আইপিওতে ৫ হাজার টাকায় যারা ৫০০ শেয়ার পেয়েছিলেন, এখন তাদের এই শেয়ারের দাম ১৬ হাজার ৩৫০ টাকা।

নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে এভাবে দিনের পর দিন সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি রবির ক্ষেত্রে। টানা ১৪ কার্যদিবস বেড়ে শেয়ারটির দাম ৭৭ টাকা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের ভুল বিবেচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই শেয়ারটির দাম কমতে কমতে একপর্যায়ে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। এখন কিছুটা বেড়ে দাম ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে।

রবির পর ক্রমাগত বাড়তে থাকা নতুন শেয়ার এনার্জিপ্যাকও বিনিয়োগকারীদের হতাশার আরেক নাম। ৩১ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার দরও টানা ছয় দিন সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ১০১ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছিল।

এরপর আবার টানা পতন হতে হতে শেয়ারদর নেমে আসে ৪৬ টাকা ১০ পয়সায়। এখন কিছু বেড়ে তা হয়েছে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা।

তৃতীয় যে শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান করিয়েছে, সেটি হলো মীর আকতার হোসেন লিমিটেড।

ইজেনারেশন লিমিটেডের আর্থিক অবস্থা

প্রতিষ্ঠানটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর ’২০-ডিসেম্বর ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫৩ পয়সা।

একই সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ৯২ পয়সা। আর আইপিও-পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানির এনএভি হয়েছে ২০ টাকা ৩৪ পয়সা।

কোম্পানির বক্তব্য

টানা ছয় দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ইজেনারেশন লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকতা (সিএফও) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই, যা জানানো হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে। করোনা মহামারি অনেকের কাছে ক্ষতির কারণ হলেও আমাদের ব্যবসা সফল হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কিছুটা কমেছে, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সেটিকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ