বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়া বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ৪ টাকার শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়ার সুযোগ ছিল ৪০ পয়সা। বেড়েছেও তা।
এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির নতুন পর্ষদ পুনঃগঠনের পর এই কোম্পানিটির শেয়ার দরও ছুঁয়েছে একদিন বাড়ার প্রান্তসীমা।
শেয়ার দর ১২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। বৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সিঅ্যান্ডিএ টেক্সটাইল লিমিটেডেরও দর পরপর তিন দিন ছুঁয়েছে দর বৃদ্ধির প্রান্তসীমা। শেয়ার দর ২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। ৪ টাকা ৭০ পয়সার শেয়ারের দর বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সা।
বিশ্লেষক মত
দুর্বল শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁকার বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকাস এসোসিয়েশনের–বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন তারা জেনেশুনে ঝুঁকি নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএসইসি একটি পর্যায় থেকে লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানিগুলো চালু করার সম্ভাবনা যাচাইয়ে পর্ষদ পুনঃগঠন করছেন। এটাকে আগামীকে শেয়ারের দর বাড়বে ভেবে যারা বিনিয়োগ করছেন তারা একদিনের নিজের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে ফেলছেন অপরদিকে লোকসানের পথে হাঁটছেন।’
বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘বিএসইসি যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কোম্পানিগুলো চালু হোক সেটা আমরা সবাই চাই। কিন্ত এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘জেড ক্যাটাগরির শেয়ার আজ কেনার পর দশ দিন পর বিক্রির উপযুক্ত হবে। এখন শেয়ারের দর বাড়ছে, ফলে যাদের হাতে বেশি সংখ্যাক শেয়ার আছে তারা সেগুলো বিক্রি করে বের হয়ে যাচ্ছে। আর সেগুলো কিনছে গুজবে পড়া বিনিয়োগকারীরা।
‘এখন যারা শেয়ার কিনছেন তাদের বিক্রির সময় হবে তখন আর দর পাবে না। ফলে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই ভেবে বিনিয়োগ করা উচিত।’
সূচক ও লেনদেন
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে-ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৮৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪২ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ০৯২ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, দর কমেছে ১২৬টির ও দর পাল্টায়নি ৯৯টির।
লেনদেন হয়েছে ৭৭৫ কোটি টাকা। আগের দিন সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৮৩৩ কোটি টাকা। ফলে এই সময়ে লেনদেন কমেছে ৫৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে-সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৮ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ৯৬টির ও পাল্টায়নি ৫৭টির।
লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।