একটি টুইটের মাশুল! তার জেরে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেলেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার্স সূচক অনুযায়ী, টেসলা প্রধান সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৩.৪ বিলিয়ন। গত জানুয়ারিতে যা ছিল ২১০ বিলিয়ন ডলার। ৩.৭ বিলিয়ন ডলার খুইয়েও ১৮৬.৩ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তিসহ তালিকার শীর্ষে উঠলেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
গত সোমবার টেসলার শেয়ার ৮.৬ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল, যা গত সেপ্টেম্বরের পর টেসলার সব থেকে বেশি পতন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গত সপ্তাহের শেষের দিকে মাস্কের একটি মন্তব্যের জেরেই পড়েছে টেসলা শেয়ার। নিজের পছন্দের সামাজিক মাধ্যম টুইটারে তিনি জানিয়েছিলেন, বিটকয়েন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ইথারের দাম ‘দেখে বেশি মনে হচ্ছে।’ তার ফলে টেসলা প্রধানের সম্পত্তির পরিমাণ ১৫.২ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
সেই টুইটের ফায়দা পেয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা। যিনি সম্পত্তি খুইয়েও ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন। তবে টেসলার শেয়ারের হেরফের হতে থাকায় বিশ্বের ধনীতম তালিকায় দুই ব্যবসায়ীর স্থান পরিবর্তিত হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে ২৫ শতাংশ শেয়ার বাড়লেও বৃদ্ধির সুফল বেশিদিন পাননি টেসলা প্রধান। চলতি মাসের শুরুতে মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের উপরের ভিত্তি করে কয়েকদিনের জন্য বেজোসকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন মাস্ক। জানুয়ারির আগে টানা তিন বছর শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছিলেন বেজোস। ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার্স সূচকের নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্পত্তি খুইয়েছেন এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি ঝং শানশান। তার সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ৫.১ বিলিয়ন ডলার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি কমেছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার।