1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

কেবল বিনিয়োগকারী নয়, সরকারকেও ঠকিয়েছে

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বেসরকারি এয়ারলাইনস জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ার বন্ধ করে দেয়া হলেও সরকারের ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়নি। উড়োজাহাজগুলো ফেলে রাখা হয়েছে বিমানবন্দরে। পাওনা আদায়ে এখন সেগুলো বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু প্লেসমেন্ট শেয়ার ও পুঁজিবাজারে বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া টাকার কী হবে, তার কোনো জবাব নেই।

একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি। আরেকটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে উচ্চমূল্যে শেয়ার বিক্রি করে ব্যবসা বন্ধ করে ঠকিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

কেবল বিনিয়োগকারী নয়, সরকারকেও ঠকিয়েছে জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বেবিচকের পাওনা পরিশোধ করেনি তারা। উল্টো বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ফেলে রেখে তৈরি করেছে সমস্যা।

বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার বেবিচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিমানবন্দরে ফেলে রাখা উড়োজাহাজগুলো বিক্রি করে দেবে তারা।

এই দুই প্রতিষ্ঠানের ১২টিসহ মোট ২২টি উড়োজাহাজ শিগগিরই বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।

দুটি কোম্পানির কাছে বেবিচকের পাওনার পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহেদুল আলমের মতে, উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্তের উদ্যোগ আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা এয়ারপোর্ট হচ্ছে একটা দেশের গেটওয়ে। দেশে ঢুকতেই বিদেশের যাত্রীরা যখন এ ধরনের একটা পরিস্থিতি দেখে, রংচটা এয়ারক্রাফট পড়ে থাকা এটা খুবই দৃষ্টিকটু।

‘এটা কখনোই একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাঙ্ক্ষিত সাইট হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও এমন দৃশ্য দেখা যাবে না। এটা আমাদের এখানে এত দিন ধরে চলছে। অনেক আগেই কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ওগুলো সরিয়ে ফেলা।’

তিনি বলেন, ‘যে সময় এগুলো এখানে পার্ক করা হয়েছিল, সে সময় সিভিল এভিয়েশনের উচিত ছিল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানে পৌঁছানো। যারা এটা করেছে তারাও ভালো কাজ করেনি।

‘যে এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ আছে তাদের কথা বাদই দিলাম, কিন্তু যারা সার্ভিসে আছে তাদের অনেকেরই এয়ারক্রাফট আছে। তাদের সঙ্গে দেনদরবার করেও জিনিসটা শেষ করা যেত। এখন যত দ্রুত সরানো যায় ততই ভালো।’

হঠাৎ করে কোনো এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পাওনা আদায়ে শক্তিশালী আইন হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ। জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘মুশকিল হলো, আমাদের দেশে লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো আইনই নেই।

‘এখন যদি কোনো কারণে এয়ারলাইনস দেউলিয়া হয়ে যায় বা অপারেশনে না থাকে তাদের কাছে টাকা আদায় করা মুশকিল। ইউনাইটেড শেয়ারবাজারে এনলিস্টেড কোম্পানি। এমন একটা পদ্ধতি বের করা উচিত যাতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ