বহুজাতিক কোম্পানি রবি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার পর কোম্পানিটির প্রতিনিধিদেরকে ডেকে কথা বলেছে বিএসইসি। এই বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, রবি যখন তালিকাভুক্ত হয়েছিল তখন তাদের ইপিএস ছিল চার পয়সা, এখন হয়েছে ৩৩ পয়সা। তারা আমাদের কাগজে যে হিসেব দেখিয়েছে তাতে আগামীতে আয় হবে এক টাকা।’
বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে সম্প্রতি দুবাইতে করে আসা রোড শো নিয়েও কথা বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আমরা সেখানে দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগে গুরুত্ব কম দিয়েছি। সেখানে বন্ড ও সুকুকের মতো জনপ্রিয় প্রোডাক্টগুরো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুবাইযের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এ বিষয়ে আগ্রহ আছে।’
তিনি চাইছেন এসব খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সরকার যেন কর সুবিধা দেয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুবাই রোড শোতে প্রবাসীদের সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদা মিটিং করেছি। এখনও মেইলে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে উত্তর দেয়া হচ্ছে। তারা বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী।’
আগামী অর্থবছরের বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব করতে বিএসইসি কী প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তা নিয়েও কথা বলেন চেয়ারম্যান।
বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কমিশন সব সময় আন্তরিক। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন বাজেট ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। তারপরও আমরা চেষ্টা করে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে যাতে পুঁজিবাজার গুরুত্ব পায় সেজন্য আটটি বিষয়কে প্রস্তাব হিসেবে পাঠানো হবে। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত ও ননতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের পার্থক্য যেন ১৫ শতাংশ হয়, বন্ড ও সুকুকে কর রেয়াত সুবিধা, মার্চেন্ট ব্যাংকের কর কমানো, আইসিবিকে শক্তিশালী করা ইত্যাদি।’
আটটি প্রস্তাবের মধ্যে পাঁচটি পাওয়া গেলেও কম হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।