পুঁজিবাজারে বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।
২০০৭ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য বারাকা পাওয়ারের যাত্রা শুরু হয়।
২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ৫০ মেগাওয়াটের ফার্নেস অয়েলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পায় বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।
এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর কোম্পানিটি দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে। এর একটি কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং অন্যটি হলো বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড।
সাবসিডিয়ারি দুটির ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।
বিশ্বব্যাংক প্রথম প্রাইভেট খাতের পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে বারাকা পাওয়ারে বিনিয়োগ করেছে। কোম্পানিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইপিপিএফ প্রজেক্ট সেলের মাধ্যমে ২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি।
১১০ মেগাওয়াটের কর্ণফুলী পাওয়ার ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যা ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে ২০১৯ সালের মে মাসে। এটির উৎপাদনক্ষমতা ১০৫ মেগাওয়াট।
এমডি, চেয়ারম্যান ও সচিবের বক্তব্য
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কাদির শাফি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা ডি-সালফারাইজেশন প্রযুক্তির প্লান্ট স্থাপন করেছি। সঞ্চালন লাইনের অভাবে আমাদের দুটি সাবসিডিয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে শতভাগ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী মে মাসে আশা করছি শতভাগ উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে, তখন আয় আরও বাড়বে।’
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশজুড়ে আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিলের বড় অংশই কর্ণফুলী পাওয়ার ও শিকলবাহা পাওয়ারে ইকুইটি বিনিয়োগের কাজে ব্যয় করা হবে।
কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ রানা বলেন, ‘বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির মূল্য নির্ধারণের নতুন যে নিয়ম দেয়া হয়েছে তা আমাদের কোম্পানি থেকেই শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বুক বিল্ডিং দর প্রস্তাব বা নিলামে অংশগ্রহণের জন্য যে কমিটি করার কথা, সেটি আরও চার বছর আগেও ছিল। এখন শুধু মূল্য নির্ধারণের কিছু পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে সেগুলো যোগ্য বিনিয়োগাকারীদের ভালোভাবে জানতে হবে। তা না হলে নির্ধারিত শর্তগুলোর একটি বা দুটি ভুল হলেই কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণ ভুল হবে।’