ব্যাংক খাতের কোম্পানি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (এনআরবিসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির লটারির ড্র আগামী ৩ মার্চ, অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, এনআরবিসি ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কোম্পানির চাহিদার তুলনায় ৮.৭৫ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীরা এ আবেদন করেছেন।
ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার জন্য আইপিও আবেদন গ্রহণ করে এনআরবিসি ব্যাংক। এতে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। কিন্তু আইপিওতে জমা পড়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকার। যা চাহিদার ৮.৭৫ গুণ।
কোম্পানিটির আইপিওতে বাংলাদেশি সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে বরাদ্দকৃত ৬০ শতাংশ বা ৭২ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৫৯৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জমা পড়েছে। আর যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ বা ৪৮ কোটি টাকার কোটায় ৪৫২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
ব্যাংকটি ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এনআরবিসি ব্যাংক তালিকাভুক্ত হলে দেশে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টিতে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১২ বছর পর ব্যাংকিং খাতের এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডকে গত ১৮ নভেম্বর আইপিও অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ব্যাংকটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ বাবদ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
এদিকে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকটি দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অঞ্চলের কটেজ, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
অন্যদিকে সেবার মান বাড়ানো এবং সুশাসন আরও জোরদার করতে অফলাইন থেকে অনলাইনের দিকে যাচ্ছে এই ব্যাংক। ব্যাংকটির নিজস্ব আইটি টিমের দক্ষতার উপর ভিত্ত করেই প্রযুক্তিনির্ভর নতুন নতুন প্রোডাক্ট ও সেবা চালু করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে এলে ব্যাংকটির সুশাসন আরও বাড়বে এবং অসংখ্য বিনিয়োগকারী লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল। করোনা সংকটেও ব্যাংকটি ভাল ব্যবসা করেছে এবং চলতি বছর শেষে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।