গত বছরের শুরু থেকে বিমা খাতের শেয়ার দরে উল্লম্ফন দেখা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআর-এর নানা সিদ্ধান্তের পর। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নানা খবরে চাঙা থাকে বাজার। তবে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে দাম ওঠানামা আর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় পতন। এই সময়ের মধ্যে শতকরা হিসাবে সবচেয়ে বেশি কমেছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের দর। ৭৩ শতাংশ দর হারিয়েছে এই কোম্পানিটি।
একের পর এক মূল্য সংবেদনশীল তথ্য। বিমা খাতের শেয়ারের দর তিন মাসেই দ্বিগুণ, তিন গুণ। কোনো কোনোটি পাঁচ থেকে ছয় গুণে পৌঁছে যায়।
শেয়ারধারীদের পকেটে ঢুকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা। কিন্তু দাম আরও বাড়বে, এমন গুঞ্জন ডালপালা মেলে পুঁজিবাজারে।
তবে তিন সপ্তাহ ধরে পতনমুখী বাজারে এই বিমা খাতের পতন হয়েছে ব্যাপক। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এই খাতের শেয়ারগুলো দর হারিয়েছে ব্যাপক। এই সময়ে সব খাতই মোটামুটি দর হারিয়েছে। তবে বিমার মতো বেশি দর হারায়নি অন্য কোনো খাতের শেয়ার।
বিমা খাত নিয়ে তুমুল আলোচনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআর-এর চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি বিমা কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর ঘুষ দাবি নিয়ে।
ডেল্টা লাইফ ইসস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী আদিবা রহমান ৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে এসে এই গুরুতর অভিযোগ আনেন। বলেন, তার কাছে দালিলিক প্রমাণ আছে। ফোন রেকর্ড ও অন্যান্য প্রমাণ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছেও পাঠিয়েছেন।
তবে মোশাররফ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ আনেন ডেল্টা লাইফ প্রধানের বিরুদ্ধে। বলেছেন, ওই কোম্পানির অন্যায় দাবি না মানায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরপর ডেল্টা লাইফে অনিয়মের অভিযোগ এনে সেখানে প্রশাসক বসায় আইডিআরএ। পাশাপাশি ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ এনে মামলা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ডেল্টা লাইফের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন এম মোশাররফ হোসেন।
এসব ঘটনায় বিমা খাতে কী হয়, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারের দাম ক্রমেই কমছে। এই অবস্থায় আরও বেশি লোকসানের আশঙ্কায় তারা শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যাচ্ছেন।
গত বছরের শুরু থেকেই বিমা খাতের শেয়ার দরে উল্লম্ফন দেখা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর নানা সিদ্ধান্তের পর। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নানা খবরে চাঙা থাকে বাজার।
তবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে ওঠানামা। ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় পতন।
এই সময়ের মধ্যে শতকরা হিসাবে সবচেয়ে কমেছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের দর। ৭৩ শতাংশ দর হারিয়েছে এই কোম্পানিটি।
সবচেয়ে কম দর হারিয়েছে সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স। সেটিও পড়েছে ২০ শতাংশর মতো। অবশ্য পতনমুখী বাজারে ২০ শতাংশ পড়েছে বহু কোম্পানির শেয়ারদরই।
বিনিয়োগকারী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিমা খাতের যে উন্নয়ন, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমেই পুঁজিবাজারে প্রকাশ পায়। আইডিআরএ যখন কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করে, তা সরাসরি পুঁজিবাজারে প্রভাবিত হয়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে আইডিআর-এর তা স্পষ্ট করা উচিত।’
এ বিষয়ে আইডিআর-এর কোনো কর্মকর্তাই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সংস্থাটির সদস্য (আইন) দলিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ফোন ধরেন। তিনি দলিলকে জানালে দলিল জিজ্ঞেস করেন কী বিষয়ে প্রশ্ন তার কাছে।
দলিলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি আইডিআরএ সদস্যকে জানান। পরে বলেন, ‘স্যার মিটিংয়ে আছেন। তিনি পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন।’
আরিফুল ইসলামকে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ হয়নি।
পুঁজিবাজারে নানা সময় দেখা গেছে, যখন কোনো কোম্পানি বা খাতের দাম বাড়তে থাকে, তখন বিনিয়োগকারীরা এর সম্ভাবনা, ঝুঁকি বিবেচনা না করেই শেয়ার কিনতে থাকেন।
একপর্যায়ে যখন পতন শুরু হয়, তখন অনেক মানুষ আটকা পড়ে যায়। কেউ কেউ বড় ধরনের লোকসান দিয়ে বের হয়। কেউ বা দর কমলে আরও বেশি পরিমাণ কিনে মূল্য সমন্বয় করে আবার কখনও দাম বাড়লে বের হয়ে যাওয়ার আশায়।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম এ বিষয়ে বলেন, ‘বিমা খাতের শেয়ারের দাম অনেক বেশি কমে গেছে। এটা হওয়ার কথা না। এই খাতে অনেকগুলো ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।
‘এর মধ্যে আছে পরিচালকদের কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ শেয়ার কেনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের সুবিধা বাতিল, এজেন্ট কমিশন বাতিল। এর কোনো প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েনি। দাম কমিয়ে কোনো পক্ষ সুবিধা নিতে চাইছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।’
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, ‘বিমার এত উত্থান হওয়ার কারণ নেই। কিছুদিন আগে বিমা খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরের পুরোনো এক নির্দেশনা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিমা খাতের দর বাড়ানো হয়েছে। এখন এজেন্ট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এজেন্ট না থাকলে বিমা কোম্পানির আয় কত বাড়বে, তা আমার বোধগম্য নয়। এ জন্য বিমার শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বুঝেশুনে কেনা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বিমা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট ধারণা নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বোঝা যাবে বিমা খাতের প্রকৃত অবস্থাটা কী।’
কত থেকে কত দাম
অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। দর কমেছে ১১ টাকা।
এই কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৩.৬৫ শতাংশ।
এশিয়া ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৪০ পয়সায়। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৫০ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৬.৩৫ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৮.৮১ শতাংশ।
বিজিআইসির দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২১.৭২ শতাংশ।
বিএনআইসিএলের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ১০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৯.৩৯ শতাংশ।
সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৭ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৫১ টাকা ৪০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৬ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৩.৭৩ শতাংশ।
সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.২৬ শতাংশ।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৮.৫৩ শতাংশ।
ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২৪ টাকা ৪০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪২.৪৩ শতাংশ।
ঢাকা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬১ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৬.৫৮ শতাংশ।
ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১১৯ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৪.৮৭ শতাংশ।
ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ২০ পয়সায়। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৫.৬১ শতাংশ।
এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২২ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪৯.৮৯ শতাংশ।
ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪০.১২ শতাংশ।
গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৫১ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৭৩.৪৮ শতাংশ।
গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ২০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৩.৪৩ শতাংশ।
ইসলামী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৮ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৭.১৯ শতাংশ।
জনতা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৪ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৯০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৪.৩১ শতাংশ।
কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২৭ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩০.৪১ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩২ টাকা ৫০। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ।
নিটোল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৩০ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৯.০৬ শতাংশ।
নর্দার্ন ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৭.১৯ শতাংশ।
প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৬১ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ১১৬ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৮.০৮ শতাংশ।
পিপলস ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৭ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.৪২ শতাংশ।
ফিনিক্স ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫০ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩৩ টাকা ২০। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৪.২৫ শতাংশ।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১০০ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৬২ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.২৪ শতাংশ।
প্রগতি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৬ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৮.৮৮ শতাংশ।
প্রাইম ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৫.৭৪ শতাংশ।
প্রভাতী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১০২ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৬০। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৩১ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩০.২৮ শতাংশ।
পূরবী জেনারেল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৪০। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৬ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪০.৬০ শতাংশ।
রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৭.৭৯ শতাংশ।
রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬২ টাকা ১০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৮০। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৮.১৯ শতাংশ।
রূপালী ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৫.৪৬ শতাংশ।
সোনারবাংলা ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭১ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩১.৯৭ শতাংশ।
স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৯ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৪০ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৯ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৮.৩৬ শতাংশ।
তাকাফুল ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৫ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৪ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৫.৬৩ শতাংশ।
ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৩.৮০ শতাংশ।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স
জেনারেল ইনস্যুরেন্সের তুলনায় লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর বেড়েছিল কম। তবে পতনও হয়েছে একই রকম প্রায়।
ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৯০ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২১.৮৮ শতাংশ।
ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬০ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২০ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৩.৮২ শতাংশ।
মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৮.২৯ শতাংশ।
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২৮০ টাকা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪২ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৩.৩২ শতাংশ।
পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকায়। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৭.৬২ শতাংশ।
পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৯৮ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৭০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৩২ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩২.৪২ শতাংশ।
প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৪৩ টাকা ২০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৮৮ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩১.৩৫ শতাংশ।
প্রাইম লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৮ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ২৭.৫০ শতাংশ।
প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৫৮ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১০৩ টাকা ২০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৪.৫৭ শতাংশ।
রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭২ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৩৪.৮৪ শতাংশ।
সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২৩ টাকা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ৪১.৪৭ শতাংশ।
সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২৬ টাকা। সেটি এখন কমে হয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর হারিয়েছে ১৫.৭৬ শতাংশ।