সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে ডিএসইর লেনদেন শেষ হয়। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে স্থির হয়। আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও কমতে দেখা যায় সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের চাহিদায় বেশ এগিয়ে ছিল ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ার। গতকাল এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করতে দেখা যায় প্রায় ৩০ শতাংশ বিনিয়োগকারীকে।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, গতকালও আগের সপ্তাহের শেষ দিনের মতো সব খাতেই বিক্রয় চাপ ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল খাদ্য খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ২৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের মোট লেনদেনে ২০ শতাংশের বেশি অবদান দেখা যায়। এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতটির অবদান দেখা যায় ১০ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে গতকাল দিন শেষে ৮০১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এই মার্কেটে লেনদেনে অংশগ্রহণ করে ২৪টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ১১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭১টি শেয়ার ৩৭ বার হাতবদল হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকার ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি এক লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে লিনডেবিডির।
এছাড়া বিকন ফার্মার দুই কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, আমান কটনের ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ব্যাংক এশিয়ার পাঁচ লাখ ৩১ হাজার টাকার, বিবিএসের ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ছয় লাখ ৮৫ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের সাত লাখ ২২ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকার ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১৩ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।