1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

পুঁজিবাজারের বর্তমান সমস্যা গুজব

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
abu-ahmed

‘সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ডে ট্রেডিংয়ে বিশ্বাসী। যখনই মুনাফা হয় তখনই তারা শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যান, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের আচরণ করলে বাজার ধরে রাখা কঠিন। অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এখন রিটেইল ইনভেস্টর বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো আচরণ করেন।’

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদের মতে বাজারের মূল সমস্যা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষার অভাব। তার মতে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির মৌলভিত্তি, ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে লেনদেন করে গুজবের ভিত্তিতে।

পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগাকারীদের মতো ডে ট্রেডারের ভূমিকা, ব্যাংকগুলোর বাজারবিমুখতার পাশাপাশি শেয়ার দর কমলে অযথাই আতঙ্কিত হয়ে যাওয়াও পুঁজিবাজারের বিকাশের বড় অন্তরায়।

তার মতে, বাজারে ভালো কোম্পানির ঘাটতি রয়েছে। বলেছেন, বাজার চাঙা করতে হলে আরও প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও বাড়াতে হবে।

মূলধন কাঠামোর ভিত্তিতে লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের জন্য সমস্যার হবে না বলেও মনে করেন আবু আহমেদ। তার মতে, দামের ওঠানামা স্বাভাবিক ঘটনা, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দ্রুত ধনী হতে চান। তাদের মার্কেট সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই। কোম্পানি সম্পর্কে জানাশোনা নেই। গুজবের ভিত্তিতে লেনদেন করে। কিছুদিন আগে তারা বিমা খাতের পেছনে ছুটেছে। এ খাতের শেয়ারের দর তিন চারগুণ বেড়েছে।

বিমার শেয়ার দর সে জায়গায় এখন আর নেই। তারপর তারা ছুটেছেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। সেটার দর বাড়ার পর শেষ পর্যন্ত টেকেনি। সব বিনিয়োগকারী মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন। তারপর যান আইপিওতে, তখন প্রায় সবগুলোর দর তিন চারগুণ বাড়লেও শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। রবির শেয়ার বেড়ে হয়েছিল সাতগুণ।

বাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব আছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে।

ব্যাংকগুলো তাদের শেয়ারধারীদের কত লভ্যাংশ দিতে পারবে, তা নির্ধারণ করে সম্প্রতি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত কতটা পুঁজিবাজারবান্ধব?

এ পদক্ষেপ পুঁজিবাজারের জন্য খুব বেশি সমস্যা তৈরি করবে না। এটা ব্যাংকের কু-ঋণ ও রিজার্ভ রক্ষায় করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে না, ব্যাংকগুলো এখন বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করে পরে বিপদে পড়ুক। কারণ, করোনার সময় ব্যাংকগুলোর ঋণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল। তার পরেও বেশির ভাগ ব্যাংকের ২০২০ সালের শেষে মুনাফা বেড়েছে। তারা চাইলে বেশি হারে লভ্যাংশ দিতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে। গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুব কম সংখ্যক ব্যাংকই এ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায়, গ্রাহকদের সুরক্ষায় ব্যাংকের নিরাপত্তা। লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের মূলধন যাতে দুর্বল হয়ে না যায়, সেজন্যই তাদের একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

আজিজ পাইপসের এমডি নিয়োগ

  • ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪