আগের কার্যদিবসে বড় ধরনের উত্থানের পর গতকালও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। লেনদেনের শুরুতে বড় উত্থানের ইঙ্গিত দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচক হ্রাস পায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে সূচক আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। দিন শেষে ১০ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৫০৯ পয়েন্টে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ ছিল না বিনিয়োগকারীদের। সারা দিনই তাদের কোম্পানির বিবেচনায় বিনিয়োগ করতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে তাদের পছন্দের তালিকায় ছিল ২০০ টাকার ওপরে দর থাকা শেয়ার। গতকাল প্রায় ৪৬ শতাংশ বিনিয়োগকারীর আগ্রহের তালিকায় ছিল এ ধরনের শেয়ার। এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও আলোচিত কোম্পানির শেয়ারদর দুই টাকা ৭০ পয়সা বাড়তে দেখা যায়। দিন শেষে শেয়ারদর ৪৬ টাকা ৫০ পয়সায় স্থির হয়।
দিন শেষে গতকাল মোট ৭৮৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে ২৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এসব কোম্পানির মোট ২৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৯ কোটি আট লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রিং শাইনের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৯৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকার লিন্ডে বিডির এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি এক লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনাটার।
এছাড়া বিডি ফাইন্যান্সের এক কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের এক কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের এক কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ২৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর সাত লাখ ৯০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লসের সাত লাখ ৮১ হাজার টাকার, জেনেক্সের ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকার, আমান কটনের ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার পাঁচ লাখ টাকার, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের সাত লাখ ১৮ হাজার টাকার ও বিবিএস কেব্লসের সাত লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।