হঠাৎ করেই চরম অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। আগের দিনের বড় দর পতনের পর আজ সোমবারও বাজার একই পথে হাঁটছে। বাজারের এই আচরণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বাজারে বিক্রির চাপ বাড়ছে। ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ছে একের পর এক কোম্পানির শেয়ার।
বেলা দেড়টার তথ্য অনুসারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯৩টি কোম্পানির বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না। ক্রয়-আদেশের ঘরগুলো ছিল একেবারে ফাঁকা। এসব কোম্পানির মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক ক্রেজ সৃষ্টিকারী বেক্সিমকো লিমিটেডও রয়েছে। গত কিছুদিন ধরে এই শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। টানা দর বৃদ্ধির কারণে এই শেয়ার নিয়ে ছিল নানা গুজব। তাতে মুড়ি-মুড়কির মতো বেক্সিমকোর শেয়ার কিনছিলেন বিনিয়োগকারীরা। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে এই শেয়ারটির দাম ২৩ টাকা থেকে ৮৯ টাকায় উঠেছিল। সেখান থেকে দর পতন শুরু হয়। আজ বেলা পৌনে ২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় শেয়ারটির ৬৭ টাকা ৯০ পয়সা দরে কেনা-বেচা হয়েছে। এ সময়ে ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা দরে ১৭ হাজার ৭৭৪টি এবং ৬৭ টাকা ৭০ পয়সা দরে ৫৬ হাজার ৭৬৮টি শেয়ার কেনার আদেশ ছিল। বিপরীতে ৬৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬৯ টাকা দরে ৮২ হাজার শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব ছিল।
বিক্রতা-শূন্য অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল- বিএটিবিসি, এডভেন্ট ফার্মা, এএফসি এগ্রো, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ফুড, এপেক্স ট্যানারি, এপেক্স স্পিনিং, এপেক্স ফুটওয়্যার, আর্গন ডেনিম, এটলাস, আজিজ পাইপস, বঙ্গজ, বিবিএস ক্যাবলস, বিডি অটোকারস, বিচ হ্যাচারি, সেন্ট্রাল ফার্মা, কপারটেক, সিভিও, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, ডিবিএইচ, ডেসকো, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, এভিন্স টেক্সটাইল, কোহিনুর কেমিক্যাল, খুলনা পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং, লিগাসি ফুটওয়্যার, ফার কেমিক্যাল, জেমিনি সি ফুড, গোল্ডেন হারভেস্ট, গ্লোবাল হেভী কেমিক্যাল, কেঅ্যান্ডকিউ, হাক্কানী পালপ, হামিদ ফেব্রিকস, ইন্দোবাংলা ফার্মা, ন্যাশনাল টিউবস, নুরানী ডায়িং, ওইমেক্স ইলেকট্রোড, প্যাসিফিক ডেনিমস, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পিটিএল, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, রহিমা ফুড, রহিম টেক্সটাইল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রিং শাইন টেক্সটাইল ।