ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৪টি শেয়ার ২৮০ কোটি ৩৫ লাখ সাত হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ৪৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৯৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৬৯৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল এক হাজার ৬৯৮ টাকা ৬০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন এক হাজার ৬৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৯৮ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৮২১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে এক হাজার ৬৯৮ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
আর লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির সাত কোটি ১২ লাখ ৬২ হাজার ৪৭২টি শেয়ার ৬০০ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ১৪ শতাংশ বা ছয় টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৮৫ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৬ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৯৬ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪টি শেয়ার ২৭১ কোটি ৪৫ লাখ ১৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ২৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে।
আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে চার কোটি ৯৬ লাখ তিন হাজার ৭৮৯টি শেয়ার ১৯৫ কোটি দুই লাখ ১৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে।
আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে এক কোটি দুই লাখ ১৩ হাজার ৬৩৬টি শেয়ার ১৮০ কোটি ৫৫ লাখ দুই হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৮১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে।
ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে দুই কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৬টি শেয়ার ১২১ কোটি এক লাখ ৭৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।
সপ্তম অবস্থানে থাকা এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৫টি শেয়ার ১০৯ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৯২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে।
অষ্টম অবস্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৫টি শেয়ার ৮৫ কোটি ৭৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।