গত ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয় কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৪৬ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি টাকা। রিজার্ভে আছে ২১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা সাত কোটি ২০ লাখ।
সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৬২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ২২৫ টাকা ৫৩ পয়সা।
পাট শিল্প খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৭ লাখ ১২ হাজার শেয়ার রয়েছে।
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট সাত কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১টি শেয়ার রয়েছে।
ফরচুন শুজ লিমিটেড: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ পাঠিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৮০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৬৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি এক দশমিক ৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা এক পয়সা।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি।
ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৬ পয়সা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২১৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।