কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে গতকাল পুঁজিবাজারে সূচকের বড় ধরনের উত্থান চোখে পড়েছে। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৬৪৭ পয়েন্ট। একইভাবে বাড়তে দেখা যায় লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ফান্ডের ইউনিটদর। এর জের ধরে বাজার মূলধন বাড়তে দেখা যায়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার এবং ফান্ডের বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। গতকাল দিন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় চার লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল চার লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে পাঁচটি খাত। খাত পাঁচটি হচ্ছে বিবিধ, টেলিকমিউনিকেশন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল বিবিধ খাত। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা যায় ১৪ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল টেলিকমিউনিকেশন খাতে। এ খাতটি গতকাল মোট লেনদেনে ১২ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। অন্যান্য খাতের মধ্যে প্রকৌশল খাত ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ১১ এবং ওষুধ ও রসায়ন ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
সূচক বাড়লেও গতকাল কমে যেতে দেখা যায় লেনদেন। ডিএসইতে গতকাল মোট ৭১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে সেখানে লেনদেন হয় ৭৯৪ কোটি টাকা।
এদিকে গতকাল ডিএসইর ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ২৩ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে ২২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২৫ লাখ ৪ হাজার ৯৬৬টি শেয়ার ৪৩ বার হাতবদল হয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৮ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১১ লাখ ৩ হাজার টাকার বীকন ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে লিন্ডেবিডির।
এছাড়া বার্জার পেইন্টসের ২ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৩ লাখ টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১৩ লাখ ৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।