পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের শেয়ারের দর কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কোম্পানিটির লেনদেনের শুরুতে সর্বোচ্চ দরে ক্রয়াদেশ দিয়ে প্রভাবিত করায় দুটি বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার এ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সর্বোচ্চ দরে ক্রয়াদেশ দেয়া আইডিএলসি সিকিউরিটিজের এক ট্রেডারকে (অনুমোদিত প্রতিনিধি) চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ক্রয়াদেশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর দুটি বিও হিসাব থেকে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বিএসইসির সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারে চিহ্নিত হয়।
বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে আসার পর ব্রোকারেজ হাউজটিকে সতর্ক করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ক্রয়াদেশ দুটি তুলে নেয়ার পাশাপাশি দুটি বিও হিসাব জব্দ করা হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে মীর আখতারের লেনদেন শুরু হয় মঙ্গলবার। প্রথম দিনের লেনদেনে শেয়ারের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। দ্বিতীয় দিনে বুধবার লেনদেন শুরুর আগে শেয়ারটি দিনের সর্বোচ্চ দামে ১২১ টাকায় ক্রয়াদেশ দেয়া হয়।