বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিডিং করার পর কোম্পানিটিকে তিন কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩টি প্রাথমিক শেয়ার ইস্যু করে ১৫০ কোটি টাকা তোলে। গত আগস্টে এই অর্থ ব্যবহার করার কথা ছিল। তবে করোনার কারণে বিলম্ব হয়েছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব-আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবহার করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি এস্কয়ার নিট কম্পোজিট।
শুক্রবার ময়মনসিংহের ভালুকায় অবকাঠামো প্রকল্প পরিদর্শন শেষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল হাবীব এ তথ্য জানান।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিডিং করার পর কোম্পানিটিকে তিন কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩টি প্রাথমিক শেয়ার ইস্যু করে ১৫০ কোটি টাকা তোলে।
মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ বা এক কোটি ৪০ লাখ ৬২ হাজার ৫০১টি সাধারণ শেয়ার ৪০ টাক দরে আইপিও মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকি ৬০ শতাংশ বা দুই কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩২টি শেয়ার ৪৫ টাকা দরে যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হয়।
এই ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় হবে ভবন নির্মাণে, ইয়ার্ন ডায়িং মেশিন কেনা হবে ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকায়, ওয়াশিং প্লান্টের মেশিন কেনা হবে ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকায়। বাকি ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আইপিও বাবদ ব্যয় হয়।
এর মধ্যে অভিযোগ উঠে কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে তোলা টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করছে না।
এমন অভিযোগের পর তদন্তে নামে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।
আইন অনুযায়ী গত বছরের আগস্টে সব টাকা ব্যয় করার কথা ছিল। তবে কোম্পানিটি বলছে, করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এমন তথ্য জানিয়ে কোম্পানির এমডি বলেন, ‘বর্তমানে অবকাঠামো উন্নয়নের অগ্রগত প্রায় ৫৫ শতাংশ। যে ফ্লোরগুলোর কাজ শেষ হয়েছে সেখানে আগামী মার্চ থেকে উৎপাদন শুরু হবে। বাকি ফ্লোরগুলোর কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ভবন নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে আমাদের বাজেট পাঁচশ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুঁজিবাজার থেকে দেড়শ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। বাকি টাকা নিজস্ব অর্থায়ন ও বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা পুঁজিবাজার থেকে তোলা করা টাকার ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।’
এহসানুল হাবীব জানান, পুরো ভবনের কাজ শেষ করতে দুই থেকে তিন বছর লাগবে। তখন কোম্পানির অতিরিক্ত ২০ কোটি ডলার বেশি আয় হবে। আংশিক চালু হলেও প্রায় দুই কোটি ডলার রপ্তানি হবে।
এ সময় কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।