দেশের পুঁজিবাজারে টেলিকম খাতে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ নগদ ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ১৪ টাকা ৫০ পয়সা করে পাবেন।
সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি। আর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা হবে আগামী ১৯ এপ্রিল।
সব মিলিয়ে গ্রামীণফোন ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিল। এর আগে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম বেড়েছে। বুধবার এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ২৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে লেনদেন হয়েছে ২৮৩ টাকা ৬০ পয়সায়।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২০ সালে গ্রামীণফোন ফোন প্রতি শেয়ারে ২৭ টাকা ৫৪ পয়সা মুনাফা করেছে। আগের বছর ছিল ২৪ টাকা ৮৬ পয়সা।
২০২০ সালে গ্রামীণফোনের প্রতি শেয়ারে সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩৮ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের বছর ছিল ২৮ টাকা ৪০ পয়সা।
২০১৭ অর্থবছরে গ্রামীণফোন মুনাফা করে দুই হাজার ২৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ২০ টাকা ৫০ পয়সা।
২০১৮ অর্থবছরে কোম্পানিটি তিন হাজার ৫১৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মুনাফা করে এবং লভ্যাংশ দেয় শেয়ার প্রতি ২৮ টাকা।
২০১৯ অর্থবছরে মুনাফা করে তিন হাজার ৪৫১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আর লভ্যাংশ দেয় শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে চার দশমিক ৪৯ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে তিন দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে দুই দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার আছে।
গ্রামীণফোনের বর্তমান বাজার মূলধন ৫০ হাজার ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি তিন লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।