চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৪৯ পয়সা কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ছয় টাকা ১৯ পয়সা আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ১২ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা ৪৬ পয়সা যা ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে ছিল ১৪৮ টাকা ২১ পয়সা আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৬ টাকা ১৪ পয়সা অথচ আগের বছর একই সময় ছিল ৪২ টাকা ৬৭ পয়সা
এদিকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩০৭ কোটি ৯১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪১ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৭০ কোটি টাকা কম এর আগের বছর হয়েছিল ৩৭৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৪ টাকা বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৮ টাকা ৪৫ পয়সা এর আগের বছর ইপিএস ছিল ৩৫ টাকা ১১ পয়সা আলোচিত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৪৮ টাকা ২১ পয়সা
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৬ মার্চ কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ওইদিন বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি এজিএম অনুষ্ঠিত হবে এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আজ ২১ জানুয়ারি
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা
কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৩২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আট দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৮৪