ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) ও তার মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কারসাজির দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি নিজের মালিকানাধীন কোম্পানি নর্দার্ন জুট ম্যানুফেকশ্চারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের মূল্য কারসাজি করেছিলেন।
আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনা সভায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কারসাজির সাথে যুক্ত পিকে হালদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে হাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও সন্দ্বীপ করপোরেশন।
এর হাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ৮৫ লাখ টাকা, সন্দ্বীপ করপোরেশনকে ৬০ লাখ টাকা এব প্রশান্ত কুমার হালদারকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই ঘটনায় কারসাজির চক্রের অন্যতম হোতা আমান উল্লাহকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নর্দার্ন জুট ইন্ডাস্ট্রিজের স্পন্সর বা উদ্যোক্তা নন। তিনি নামে-বেনামে বাজার থেকে কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনে এটি দখলে নেন। তার দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এর চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে নর্দার্ন জুটের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। এরপর পিকে হালদারের মালিকানাধীন ব্রোকারহাউজ কেএইচবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এবং মার্চেন্ট ব্যাংক হাল ক্যাপিটালের মাধ্যমে বেনামে ওই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াতে থাকেন। কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল মৌলের কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দাম ৯০০ টাকায় তোলা হয়। এরই এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে নানা আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে আজ দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে বিএসইসি।