পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ১১ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই জরিমানা করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
যাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে তারা হচ্ছেন-মো: আমানত উল্লাহ, সেতারা বেগম, প্রশান্ত কুমার হালদার, সমির রঞ্জন পাল, শিউলি পাল, চিত্ত হারান দত্ত, সালেক আহমেদ সিদ্দকী, অমল কৃষ্ণ দাস, পরিমল চন্দ্র পাল, রিপন শেখ, মল্লিক আবু বকর, তোফাজ্জল হোসেন ও বিধান মিস্ত্রী। জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে-হাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও সন্দ্বীপ করপোরেশন।
বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে আলোচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। কোম্পানি চারটি হচ্ছে-নর্দার্ন জুট ম্যানুফেকশ্চারিং লিমিটেড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড, ফাইন ফুডস লিমিটেড ও স্টাইলক্রাফট লিমিটেড।
আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে আমানত উল্লাহকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি ও তার তিন সহযোগী- প্রশান্ত কুমার হালদার, সেতারা বেগম, সন্দ্বীপ করপোরেশন ও হাল ইন্ডাস্ট্রিজ নর্দার্ন জুটের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ (e)(v) ধারা লংঘন করেছেন।
আমানত উল্লাহর সহযোগীদের মধ্যে হাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ৮৫ লাখ টাকা, সন্দ্বীপ করপোরেশনকে ৬০ লাখ টাকা, প্রশান্ত কুমার হালদারকে ২৫ লাখ টাকা এবং সেতারা বেগমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শিউলি পালকে ৫০ লাখ টাকা, মো: তোফাজ্জল হোসেনকে ৪০ লাখ টাকা, সমির রঞ্জন পাল, পরিমল চন্দ্র পাল ও রিপন শেখকে ২০ লাখ টাকা করে, চিত্ত হারান দত্তকে ১২ লাখ টাকা, মল্লিক আবুবকরকে ১০ লাখ টাকা, সালেক আহমেদ সিদ্দিকীকে ৭ লাখ টাকা, অমল কৃষ্ণ দাসকে ৭ লাখ টাকা, বিধান মিস্ত্রীকে ৫ লাখ টাকা এবং জেমস মার্টিন দাসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।