ফের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেডিং সিস্টেমে। রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের পর থেকে ট্রেডিং সিস্টেমে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে ওই সময়ে অনেক শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয় আদেশ কার্যকর হয়নি। এতে লেনদেন করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ব্রোকারহাউজ ও বিনিয়োগকারীদের।
এদিকে ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেম কারিগরি ত্রুটির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি কারিগরি ত্রুটির কারণে শেয়ার বিক্রি করতে না পারায় ডিএসইর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে তারা। এমনকি বর্তমান ট্রেডিং সিস্টেমের আওতায় লেনদেন করতে চান না বলে দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সূত্রে জানা গেছে, রোববার ট্রেডিং সিস্টেম কারিগরি ত্রুটির পরিপ্রেক্ষিতে শেলটেক ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারী ডা. মহসিন খান ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা বরাবর অভিযোগ জানিয়েছেন। চিঠিতে অভিযোগ করে তিনি উল্লেখ করেন, আমি একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। আজ সার্ভার সমস্যার কারণে আমি শেয়ার বিক্রি করতে পারিনি। আমার মতো আরও অনেক হাউজে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেনি। তখন হাউজ থেকে বলা হয়েছে, সার্ভার প্রবলেম। এ সমস্যার কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই শেয়ার বিক্রি করতে না পারায় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ডিএসইর কাছে ক্ষতিপূরণ চাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আজকে সার্ভার ত্রুটির কারণে অনেক ব্রোকারেজ হাউজে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচায় বিঘ্ন ঘটেছে। এ বিষয়টি নিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেম কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে জনুয়ারি মাসেই দুইবার ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেম কারিগরি ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে।