শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরামিট সিমেন্টের ন্যায় আরামিট থেকেও সহযোগী কোম্পানিতে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে ওই সরবরাহকৃত অর্থকে বিনিয়োগ হিসাবে দেখানো হলেও তা বাড়ছে না, বরং বিনাসুদে ঋণ প্রদানের ন্যায় একইরকম রয়েছে। যে কারনে এ কোম্পানিটিরও ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন) করেছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আরামিট থেকে সহযোগী কোম্পানিতে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর এই বিনিয়োগের অর্থকে কস্ট ভ্যালুতে বা অপরিবর্তিত দেখানো হচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-২৮ অনুযায়ি ইক্যুইটি মেথডে দেখানো উচিত। অর্থাৎ সহযোগী কোম্পানি ব্যবসায় মুনাফা করলে ওই বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে এবং লোকসান করলে বিনিয়োগ কমে আসবে।
তবে আরামিট কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর শুধুমাত্র বিনিয়োগ করা অর্থকে অপরিবর্তিত দেখিয়ে আসছেন। অর্থাৎ বিনিয়োগ করলেও সহযোগী কোম্পানির মুনাফা বা লোকসানে ভাগিদার করা হয়নি আরামিটকে। অনেকটা বিনাসুদে সহযোগী কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার মতো।
উল্লেখ্য, ৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের আরামিটের শেয়ার দর শনিবার (১০ জানুয়ারি) দাড়িঁয়েছে ২৬২.১০ টাকায়।