বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজির ফলে লাখো বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ার কারসাজির সিন্ডিকেট একাধিক বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। এতে শেয়ারদরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটিয়ে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হয়েছিল, ফলে তারা শেয়ার কিনে লোকসানে পড়েছেন।
এখন বিএসইসি মার্জিন ঋণ পদ্ধতির সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারকে গতিশীল করার জন্যও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিশেষ করে, বিএসইসি-র সুপারিশ অনুযায়ী, গৃহিণী, ছাত্র বা অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের মতো নিয়মিত আয় না থাকা বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া, শুধু তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা বিবিবি প্লাস রেটিংয়ের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে জামানত রাখা যাবে।
নতুন সংস্কারে স্টক এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণ দেওয়ার সুযোগ থাকলেও, একক গ্রাহকের জন্য ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২৫% রাখা হবে। এছাড়া, মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারে সংস্কার করা হবে যাতে এই ফান্ডগুলো স্থিতিশীলভাবে কাজ করতে পারে। এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে, বিএসইসি আশা করছে যে, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
এছাড়া, মিউচুয়াল ফান্ডের পরিচালনায় ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা হবে, এবং ফান্ডগুলো বিক্রি করতে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক এবং মোবাইল অপারেটরদের মত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সহজলভ্য করা হবে।