বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে আসতে পারেনি। ফলে তালিকাভুক্ত হতে ৫ দফায় সময় চেয়েছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুখপাত্র জানান, সীমান্ত ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে থেকে মূলধন সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিল। এটা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে পর্ষদ।
২০১৫ সালের ১৭ জুন সীমান্ত ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছর ২১ জুলাই ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘শিডিউলড ব্যাংক’ হিসেবে নথিবদ্ধ হয় এবং ১ আগস্ট গেজেটভুক্ত হয়। পরে বিজিবির ৪০০ কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ শেষে সীমান্ত ব্যাংকের এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে আইপিও মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচ বছর সময় দেওয়া হয়। তারপরও সীমান্ত ব্যাংক নির্ধারিত সময় পুঁজিবাজার আসতে পারেনি। এখন পঞ্চম দফায় সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।