ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ধানতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শ্রী জয়ন্ত নামে (১৫) এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩নং পিলার-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়ন্ত লাহীড়ি ধানতলা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে। নিহত কিশোরের মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে জানান স্বজনরা।
জানা গেছে, তারা বালিয়াডাঙ্গীর ধনতলা সীমান্তের গ্রামপাড়া সীমান্তের ৩৯৩ মেইন পিলার এলাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় জয়ন্ত নিহত হয়। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হন দবরারু ও নিহত জয়ন্তর বাবা শ্রী মহাদেব কুমার সিংহ। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ধনতলা ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জী নিহত ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তারা সীমান্তে গিয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহত ব্যক্তির মরদেহ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও (৫০ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. তানজির আহমদ বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর মা সঞ্জিতা রানী দাসের সঙ্গে কিশোরী স্বর্ণা দাস (১৪) কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার বুকে গুলি লাগে। সে জুড়ীর নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়। ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে।