সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন সেনাবাহিনী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত করে খুলে দেওয়া হয়। সকালে সচিবালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
তবে নিরাপত্তার জন্য সচিবালয়ের এক নম্বর গেট ছাড়া বাকি সবগুলো গেট বন্ধ রয়েছে। দেখা গেছে, এক নম্বর গেটে দাঁড়িয়ে সেনাসদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গাড়িগুলোকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।
এক ও দুই নম্বর গেটের মধ্যবর্তী দর্শনার্থী অভ্যর্থনা কক্ষেও সেনা সদস্যরা রয়েছেন।
সচিবালয়ের কোথাও ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। তবে সেনাবাহিনীকে পুলিশ সদস্যদের সাদা পোশাকে সহায়তা করতে দেখা গেছে।
সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে কর্মচারীদের জটলা করে আলোচনা করতে দেখা গেছে। আলোচনার বিষয়বস্তু সরকারের পতন।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের জানান দিতে শুরু করেছেন। সকাল ১০টার দিকে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বিএনপিপন্থি ২০-২৫ জন কর্মচারীকে দেখা গেছে। তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
গত কয়েকদিনে জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে দীর্ঘ ব্যানার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো সব খুলে ফেলা হয়েছে।
সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তারা ব্যর্থ হন।
এর আগে সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।