ওষুধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৫২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সে হিসাবে কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ৮২ পয়সা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, পুঁজিবাজারে যে কয়টি ভালো মানের শেয়ার রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম স্কয়ার ফার্মা। একই সঙ্গে প্রতিবছর ভালো পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করে আসছে। এর প্রভাবে বড় লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিটির।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ হাজার ৮১৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ৪৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১১৮ টাকা ৬৮ পয়সা।
২০২১-২২ হিসাব বছরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ১৫ টাকা ৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১০২ টাকা ৫৪ পয়সায়।
স্কয়ার ফার্মার ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে আসা এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০ হাজার ৪২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০। এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ১৫ দশমিক ১৩, বিদেশী ১৩ দশমিক ৭৬ ও বাকি ৩৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ারদর ছিল ২১৪ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটি শেয়ার ১৯৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে ও ২২২ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়।