রাষ্টায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর কাছে ২০২০-২০২২ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ৩৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার ডিভিডেন্ড অবন্ঠিত অবস্থায় রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি নিয়মনীতি প্রতিপালন করে ২০২০ সালের অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত অবন্ঠিত ক্যাশ ও বোনাস শেয়ারহোল্ডারদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করেছে আগামী ১৮ আগস্ট।
নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে যেসব বিনিয়োগকারীরা ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস ডিভিডেন্ড দাবি করবে না, তাদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস ডিভিডেন্ড সিএমএসএফ ফান্ডে স্থানান্তর করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় ক্যাশ ডিভিডেন্ডের দাবিদার শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন ৫৩৩ জন। আর বোনাস ডিভিডেন্ড দাবিদার শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন ২৫৬ জন।
এরমধ্যে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিমাণ হলো ৫৩৩ জনের ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর বোনাস শেয়ারের পরিমাণ হলো ২৫৬ জনের ২৮ হাজার ১৪৯টি।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি, ডিভিডেন্ড অনুমোদনের তারিখ বা রেকর্ড ডেটের তারিখের পর যদি তিন বছর পর্যন্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস ডিভিডেন্ড অবন্ঠিত থাকে, তাহলে ওই ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস ডিভিডেন্ড সিএমএসএফ ফান্ডে স্থানান্তর করতে হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএসইসি অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফ ফান্ডে স্থানান্তরের জন্য আরও একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, নির্ধারিত তিন বছরের সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি কোন কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের অবন্ঠিত ক্যাশ ও বোনাস ডিভিডেন্ড সিএমএসএফ ফান্ডে স্থানান্তন না করে, তাহলে অবন্ঠিত ডিভিডেন্ডের ওপর ২ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা হবে। এই নির্দেশনা চলতি বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইসিবি ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।