বিনিয়োগকারী তথা শেয়ারবাজারের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনী আয় করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে কর প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানির মতো তহবিল ও ট্রাস্টের মূলধনি আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন করমুক্ত থাকছে। তবে মূলধনি আয় ৫০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কাছ থেকে দুই পদ্ধতিতে গেইন ট্যাক্স আদায় করা হবে। প্রথমত, শেয়ার কেনার ৫ বছরের মধ্যে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করলে ব্যক্তি করদাতার স্ল্যাব অনুযায়ী ট্যাক্স দিতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি শেয়ার কিনে ৬ মাস বা এক বছর পর বিক্রি করে ৫১ লাখ টাকা মুনাফা করল, এক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকবে। তাকে এক লাখ টাকার ওপর গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। এই এক লাখ টাকা করদাতার মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং করদাতাকে স্ল্যাব অনুযায়ী আয়কর পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ওই ব্যক্তি শেয়ার কিনে ৫ বছর পর একই মুনাফা করলে তার করের হিসাব হবে ভিন্ন। এক্ষেত্রেও তার ৫০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকবে। বাকি ১ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ১৫ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে।
আগামীকাল (৩০ জুন) ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হবে। বাজেটে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার হচ্ছে না। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনী আয় করমুক্ত থাকবে। তবে ক্যাপিটাল গেইন ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে কর প্রযোজ্য হবে।