দীর্ঘদিন যাবত দেশের শেয়ারবাজারে চলছে পতনের মাতম। গত মে মাসে পতনের গভীরতা ছিল আরও বেশি। আলোচ্য মাসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৩৬৪ পয়েন্ট এবং বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারিয়েছে ৫৬ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
কিন্তু নিস্প্রাণ ওই বাজারেও ৭ কোম্পানির উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোক্তা অংশের শেয়ার বিক্রি করেছেন। কোম্পানিগুলো হলো-এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স, বিডি ফাইন্যান্স, জনতা ইন্সুরেন্স, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাষ্ট্রিজ।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেবল ব্যতিক্রম ছিল ওয়ালটন হাইটেক। বাজারে কোম্পানিটির লেনদেনযোগ্য শেয়ার বাড়ানোর জন্য বিএসইসির আদেশে কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা শেয়ার ছেড়েছেন।
এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার ছিল ৩৭.৬৩ শতাংশ। যা ৩১ মে, ২০২৪ তারিখে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬৯ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ০.৯৪ শতাংশ।
বিডি ফাইন্যান্স
৩০ এপ্রিল কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা শেয়ার ছিল ৩১.২০ শতাংশ। যা ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৩০.৫১ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ০.৬৯ শতাংশ।
জনতা ইন্সুরেন্স
৩০ এপ্রিল কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা শেয়ার ছিল ৩৯.০৫ শতাংশ। যা ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৮১ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ১.২৪ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক
৩০ এপ্রিল কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা শেয়ার ছিল ৩৪.৩১ শতাংশ। যা ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.১১ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ০.২০ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
৩০ এপ্রিল কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা শেয়ার ছিল ৩৪.৬৯ শতাংশ। যা ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.০৭ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ১.৬২ শতাংশ।
এনআরবিসি ব্যাংক
৩০ এপ্রিল কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা শেয়ার ছিল ৬৮.০৬ শতাংশ। যা ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬.৯৪ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ১.১২ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেক
৩০ এপ্রিল কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা শেয়ার ছিল ৯৮.৮৬ শতাংশ। যা ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬৯ শতাংশে। মে মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের শেয়ার কমেছে ০.১৭ শতাংশ।