জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের একজন মতিউর রহমান। ঘুষ এবং শেয়ার ব্যবসা উভয় প্রক্রিয়ায় অঢেল টাকা কামাই করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত শুধু প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় ২০ কোম্পানিতে নিজ নাম ছাড়াও স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, বোন হাওয়া নূরসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয় এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে ২০১০ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত শেয়ার নেওয়ার তথ্য মিলেছে। সমকালের অনুসন্ধান এবং শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি অনুমোদিত আইপিও প্রসপেক্টাস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মতিউর নিজের ও আত্মীয়স্বজনের নামে যে পরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েছেন, অভিহিত বা প্রকৃত মূল্য হিসাবে এসব শেয়ারের দাম অন্তত অর্ধশত কোটি টাকা। এর দু-একটি বাদে সব কোম্পানি আগেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় নেওয়া এসব শেয়ার উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে কয়েকশ কোটি টাকা মুনাফা করেছেন মতিউর রহমান।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে অধিকাংশ কোম্পানি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার বিক্রি করে আগেই মূলধন বাড়িয়ে নেয়। এই প্রক্রিয়ায় বিক্রি করা শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ার হিসেবে পরিচিত। সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনাবেচায় লাভ বা ক্ষতি উভয় সম্ভাবনা থাকলেও আইপিওতে আসা শেয়ারের দাম শুরুতেই অনেক গুণ মূল্যে কেনাবেচা হয়।
অর্থাৎ, প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনা মানেই বিপুল মুনাফা। এ শেয়ার কিনতে অনেক চাহিদা থাকায় সবাই পান না। কেবল সংঘবদ্ধ প্লেসমেন্ট শেয়ার ব্যবসার চক্র ও প্রভাবশালীদের ভাগ্যে এমন শেয়ার জোটে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মতিউর প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় যেসব কোম্পানির শেয়ার নিয়েছেন, সেগুলো হলো– এক্মি পেসটিসাইডস (৩৮ লাখ শেয়ার), অনিক ট্রিমস (৫৩.১৯ লাখ), অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন (১০ লাখ), বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার (৭৫ হাজার), সিএনএটেক্স (১০.৩০ লাখ), ডমিনেজ স্টিল (১৫.৮০ লাখ), ই-জেনারেশন (৫০ হাজার), ফরচুন সুজ (৪৩.১০ লাখ), কাট্টলী টেক্সটাইল (২১ লাখ), ল্যুবরেফ (৮ লাখ), মামুন এগ্রো (৩৭.৮৭ লাখ), এমএল ডাইং (১৬ লাখ), রিং শাইন (১০ লাখ), এসকে ট্রিমস (৯০ লাখ), টেকনো ড্রাগস (১.৫০ লাখ), ওয়েব কোস্টস (১৩.৯৭ লাখ) শেয়ার। প্যাসিফিক ডেনিম এবং সিলভা ফার্মারও কিছু শেয়ার আছে। এর মধ্যে এসকে ট্রিমস কোম্পানি নিজেই গড়েছেন মতিউর।
তবে এর বাইরেও তাঁর নামে আরও শেয়ার থাকতে পারে, যেগুলোর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি সমকালের অনুসন্ধানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, মতিউর এসব শেয়ারের কতটা টাকার বিনিময়ে কিনেছেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ, প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় যেসব শেয়ার তিনি পেয়েছেন, তার অনেকগুলোর বিরুদ্ধে আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি করে মুনাফা বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ আছে। আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি ঢাকতে এনবিআরে কর ও ভ্যাট দেওয়ার নথিও জাল করার প্রয়োজন পড়ে।
যারা জাল-জালিয়াতিতে পূর্ণ আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং যেসব কর্মকর্তা এ কাজে সহায়তা করেন, তাদের অধিকাংশই ঘুষের পরিবর্তে শেয়ার নেন। এতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিকপক্ষের নগদে অনেক টাকা বেচে যায়। আবার কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই ভুয়া শেয়ার নিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ শেয়ারবাজার থেকে হাতিয়ে নেন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা। মতিউরের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ আছে।
এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এক তদন্ত এবং অডিট প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসিকে দিয়ে করানো স্পেশাল অডিট রিপোর্টে। ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রিং শাইন টেক্সটাইলের পরিশোধিত মূলধন আইপিওর আগে জাল-জালিয়াতি করে ৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৮৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ২৭৫ কোটি টাকার মূলধন বাড়ানো হলেও কোম্পানিটির অ্যাকাউন্টে একটি টাকাও জমা হয়নি। এভাবে সাড়ে ২৭ কোটি শেয়ার কোম্পানিটির উদ্যোক্তা এবং ফার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফারুকরা নিয়েছেন। এই জালিয়াতিতে যারা সহায়তা করেছেন, তারাও বিনা মূল্যে শেয়ার পেয়েছেন। এই রিং শাইন টেক্সটাইল কোম্পানির ১০ লাখ শেয়ার নিয়েছেন মতিউর। এর মধ্যে নিজের নামে আড়াই লাখ, মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতার নামে আড়াই লাখ এবং ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ৫ লাখ শেয়ার নিয়েছেন।
এমন ঘটনা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ‘ওপেন সিক্রেট’ বলে জানান শেয়ারবাজার বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আল-আমীন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান একজন বড় প্লেসমেন্ট শেয়ার ব্যবসায়ী, এটা শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানেন। প্রশ্ন হলো– একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি এত শেয়ার কী করে পেলেন, তিনি কি আদৌ এ শেয়ার টাকা দিয়ে কিনেছেন? নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তদন্তে এরই মধ্যে প্রমাণিত, তিনি রিং শাইন টেক্সটাইলের যে ১০ লাখ শেয়ার নিয়েছেন, তার অভিহিত মোট মূল্য ১ কোটি টাকা। তবে তার জন্য কোনো টাকা দেননি তিনি। তাহলে তাঁকে কেন এ শেয়ার দেওয়া হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার।
সূত্র জানায়, এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের মালিক কাজী সাইফুর রহমান এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের মালিকদের একজন মতিউর রহমানকে প্লেসমেন্ট শেয়ার পাইয়ে দিতে কাজ করেছেন। শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের শেয়ারহোল্ডারদের একজন মতিউরের ছেলে অর্ণব। মিথ্যা ও জাল-জালিয়াতিপূর্ণ আর্থিক প্রতিবেদন দিয়ে আইপিও অনুমোদন করানো চেষ্টার দায়ে ২০১৩ সালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তাঁকে ৫ বছরের জন্য এবং তাঁর মার্চেন্ট ব্যাংককে ১ বছরের জন্য শেয়ারবাজার থেকে নিষিদ্ধ করেছিল।
প্লেসমেন্ট শেয়ার ব্যবসা বিষয়ে ওঠা অভিযোগগুলো বিষয়ে জানতে গতকাল শুক্রবার মতিউরকে দফায় দফায় ফোন এবং এসএমএস করা হয়। তিনি ফোনও রিসিভি করেননি বা ফিরতি এসএমএস পাঠিয়ে কোনো উত্তর দেননি।
নিজ নামে প্লেসমেন্ট শেয়ার
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত মতিউর নিজ নামে ১১টি কোম্পানির শেয়ার নিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ জন্য আইল্যান্ড, ইমতিয়াজ হোসাইন নামের দুইটি ব্রোকারেজ হাউস এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট নামে
একটি মার্চেন্ট ব্যাংকে খোলা তিনটি বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। আইল্যান্ড সিকিউরিটিজে খোলা বিও অ্যাকাউন্টটি হলো- ১২০১৯৬০০৪২২২৩৮০৬, ইমতিয়াজ হোসাইন সিকিউরিটিজে ১২০১৪৮০০৬৪৭১৮৯৮১ এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টে তাঁর বিও অ্যাকাউন্টটি হলো ১৬০৬০৬০০৪২২২৩৮০৬।
এর মধ্যে ২০২১ সালের অক্টোবরে আইপিওতে আসা একমি পেস্টিসাইডস কোম্পানিতে সর্বাধিক ৩৭ লাখ শেয়ার নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিহিত মূল্য বা শেয়ারের প্রকৃত মূল্য বিবেচনায় এ শেয়ারের দাম ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ওই বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তালিকাভুক্তির মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ১০ টাকা দামের শেয়ারটির দর ৩৭ টাকায় উঠেছিল। মাঝে কিছুটা উত্থান-পতনের পর ২০২২ সালের মে মাসের শুরুতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছিল। মতিউর যদি ৩০ টাকা দরেও শেয়ারগুলো বিক্রি করে থাকেন, তাহলেও এখান থেকেই তিনি মুনাফা পেয়েছেন ১১ কোটি টাকা।
গত বুধবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মতিউর নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, ফরচুন সুজের মালিক মিজানুর তাঁর বন্ধু। তাঁকে ১০ টাকা দামের শেয়ার ৮ টাকা দরে দিয়েছেন। এই শেয়ার বিক্রি করেই ১৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছিলেন।
সমকালের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মতিউর শুধু তাঁর নিজের নামে নেওয়া শেয়ার বিক্রি করেই অন্তত ৫০ কোটি টাকা মুনাফা করেছেন।
ইফাতের মায়ের নামে ২৫ কোটি টাকার শেয়ার
মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের যে ছেলেকাণ্ডে আলোচনায় মতিউর, সেই ছেলের মায়ের নাম শাম্মী আক্তার (শিবলী)। বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ নামের ব্রোকারেজ হাউসের ১২০৫১৫০০৪৭১০৩১৬২ নং এবং ইমতিয়াজ হোসাইন নামের ব্রোকারেজ হাউসের ১২০১৪৮০০৬৪৮২৮০৯৭ নং বিও অ্যাকাউন্ট দুটি শাম্মী আক্তারের নামে খোলা হয়েছে। মতিউর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নামে এই দুই বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যেসব কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনেছেন বা ঘুষ হিসেবে পাওয়া শেয়ার নিয়েছেন, সেগুলো হলো– ফরচুন সুজ (১০ লাখ শেয়ার), কাট্টলী টেক্সটাইল (১০ লাখ), এসকে ট্রিমস (৩৪ লাখ), অনিক ট্রিমস (২৩.১৯ লাখ), ল্যুব-রেফ (২.৫০ লাখ শেয়ার)। এসব শেয়ারের প্রকৃত মূল্য আট কোটি টাকা। তবে প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় স্ত্রীর নামে নেওয়া শেয়ারগুলো মতিউর এরই মধ্যে বিক্রি করে থাকলে অন্তত ২৫ কোটি টাকা আয় করেছেন।
অর্ণবের নামে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা
মতিউর নিজের নামে শেয়ার কিনলেও সরাসরি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে বসেননি। কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবসা করায় বিধিনিষেধ আছে। এ কারণে বিনিয়োগের নামে তিনি শেয়ার ব্যবসা করলেও পরে ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকেই মালিক করে একের পর এক কোম্পানি খুলেছেন। মতিউর এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের সন্তান অর্ণব এবং এ ঘরে আরও রয়েছে মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা।
গতকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অর্ণবের নামে আইল্যান্ড এবং ইমতিয়াজ হোসাইন নামের দুই ব্রোকারেজ হাউসে খোলা দুটি বিও অ্যাকাউন্টে ৯ কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার নামমাত্র মূল্যে বা কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন জালজালিয়াতিতে সহায়তার বিনিময়ে পাওয়া শেয়ার নিয়েছেন। বিও অ্যাকাউন্ট দুটি হলো- ১২০১৪৮০০৬৪৭৮৬০৩৯ এবং ১২০১৯৬০০৫৮৩৮৪৭৯৪।
মতিউরের ছেলের নামে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন– ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী আইডব্লিউজি কোম্পানি, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক স্থাপন সেবা প্রদান ও মালপত্র সরবরাহকারী কোম্পানি, জুতা প্রস্তুতকারী ও ট্রেডিং ব্যবসা, এম পিকনিক ও শুটিং স্পট, ওয়ান্ডার পার্ক, ইকো রিসোর্ট ইত্যাদি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অর্ণব আইপি কমিউনিকেশনস লিমিটেড, এনআরবি টেলিকম লিমিটেড এবং ভারগো কমিউনিকেশন লিমিটেড নামের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক। এর মধ্যে আইপি কমিউনিকেশনস কোম্পানিটি দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা প্রদানে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এ কোম্পানি সারাদেশে ফাইবার অপটিক, ওয়্যারলেস এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং প্রাইভেট ডাটা কমিউনিকেশন সলিউশন সেবা বিক্রি করে।
মেয়ে ঈপ্সিতার নামে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার
মতিউর তাঁর মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতার নামে বিডি ফাইন্যান্স, আইল্যান্ড এবং ইমতিয়াজ হোসাইন নামের তিন ব্রোকারেজ হাউসে তিনটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলে প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েছেন। বিও অ্যাকাউন্ট তিনটি হলো– ১২০৫১৫০০৪৭১০৩১৫৪, ১২০১৯৬০০৪৭১০৩১৫৪ এবং ১২০১৪৮০০৬৪৭১৮৮৭২। প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় আট কোম্পানির ৬৪ লাখ শেয়ার নিয়েছেন মতিউর। অভিহিত মূল্যে এসব শেয়ারের মোট মূল্য ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বোনের নামে ১০ কোটি টাকার শেয়ার
মতিউর তাঁর বোন হাওয়া নূর বেগমের নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ার অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে মোট ৫ কোটি টাকার শেয়ার নিয়েছেন। অ্যাকাউন্ট দুটি হলো– আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ১২০১৯৬০০৫৪৭৯২৯৭১ নং এবং ইমতিয়াজ হোসাইন সিকিউরিটিজের ১২০১৪৮০০৬৪৭৮৬৫৪২ নং বিও অ্যাকাউন্ট।