বীমা খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৪৯ পয়সায়। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ জুলাই।
চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সিকদার ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ২৮ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৬৫ পয়সায়।
এ বছরের ২৪ জানুয়ারি স্টক এক্সচেঞ্জে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৮২তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৬ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে কোম্পানিটি মেয়াদি আমানত রাখা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, ফ্লোর ক্রয় ও আইপিও খরচ খাতে ব্যবহার করার কথা রয়েছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৫৩ টাকা ৯০ পয়সা।
২০২৪ সালে তালিকাভুক্ত সিকদার ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৩৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।