ঈদের আগে সতেজ ও ব্রণহীন ত্বক পেতে হলুদের সাহায্যে রূপচর্চা করতে পারেন। যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী তা কারও অজানা নয়। হলুদে আছে কারকিউমিন উপাদান। এটি ত্বকে থেরাপির মতো কাজ করে। এছাড়াও আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। এই উপাদানগুলো ত্বকের সংক্রমণ দূর করে এবং ত্বক সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
ব্রণ দূর করার পাঁচ প্যাক
• ব্রণ দূর করতে হলুদ ও মধুর সাহায্যে প্যাক বানিয়ে নিন। হলুদ ও মধু দুটি উপাদানই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করতে ভূমিকা রাখে। এক চা চামচ হলুদের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু ও পানি মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাক লাগাতে পারেন।
• ত্বকের যত্নে হলুদ ও বেসন খুব কার্যকরী। বেসন ত্বকের মরা চামড়া তুলে ত্বক সতেজ রাখতে সহায়তা করে। ত্বকে জমে থাকা তেল ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে বেসন। হলুদের সঙ্গে দুই চা চামচ বেসন এবং তিন চা চামচ গোলাপজল মেশান। গোলাপজলের পরিবর্তে দইও মেশাতে পারেন। সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে তা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
• ব্রণের দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা তথা ঘৃতকুমারী কার্যকরী। দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদের পেস্ট মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ত্বকের যেখানে ব্রণ আছে সেখানে এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে পুরো মুখেও প্যাক লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
• হলুদের সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। হলুদের মতো নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। আর এ উপাদানটি ব্রণ ও ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য কয়েকটি নিমপাতা ব্লেন্ড করে নিন। নিম পাতার সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি পুরো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• ঘরে বসে ত্বক সুন্দর রাখতে বেকিং সোডার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে এক চিমটি বেকিং সোডা ও পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।