পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পিএলসির পর্ষদ ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় নির্মাণের জন্য জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে এমটিবি। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকটি প্রধান কার্যালয় স্থাপনের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে এ জমি কিনবে। মঙ্গলবার কোম্পানিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমি কেনার আবেদন করে। প্রধান কার্যালয়ের জন্য রাজধানীর বেরাইদে নিজস্ব ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে তিন বিঘা (৬০ কাঠা) জমি কিনবে ব্যাংকটি। ৩ জুন অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়া হয়।
তথ্য অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে এমটিবির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সে হিসাবে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৫২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)। আলোচ্য হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ করেছে ব্যাংকটি।
সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল এমটিবি পর্ষদ। সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ২০২০ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। আগের হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে এমটিবি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৬ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ এবং ২০১৫ ও ২০১৪ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমটিবির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৩১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৬। এর মধ্যে ৩৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১ দশমিক ৩৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত এক বছরে এমটিবির শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১২ টাকা ২০ পয়সা ও ১৭ টাকা।